ঢাকা: ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি আধুনিক ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ফিল্ডিং। এজন্য প্রতিটি দলেই রাখা হয় ফিল্ডিং কোচ।
এশিয়া কাপ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে ব্যাটিং-বোলিংয়ে সমান গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের ফিল্ডিং অনুশীলন করিয়ে যাচ্ছেন গোলাম মুর্তজা। মিরপুরের একাডেমি মাঠে যুব দলের অনুশীলনে চোখ রাখলেই দেখা যাবে সাইফ, বিপ্লব, নাঈমরা মাটিতে ঝাপিয়ে কোচের ব্যাট থেকে আসা দ্রুত গতির বল থামাচ্ছেন। বলের উপর তীক্ষ্ম দৃষ্ঠি রেখে তাদের ডাইভ দেখলে যে কারোরই চোখ আটকে যাবে।
যুব ক্রিকেটারদের শরীর মাটিতে নামিয়ে দিয়ে বল আটকানোর এই চেষ্টাকে অভ্যাসে পরিণত করাতে চান কোচ গোলাম মর্তুজা। বাংলানিউজকে তিনি জানান, ‘এখনকার আধুনিক ক্রিকেটে বলের স্পিড থাকে ১৪০। ব্যাটে যখন বলটা হিট করে তখন তা দ্বিগুন হয়ে যাবে। জায়গায় দাঁড়িয়ে বল আটকানো কঠিন। সেক্ষেত্রে শরীর না ছোঁয়ালে বল ধরা সম্ভব না। এজন্য আমরা শরীর নামিয়ে বলের উপর ঝুঁকে পড়ার উপর বেশি জোর দিচ্ছি। এটি যদি অভ্যাসে পরিণত না হয় মাটিতে লাফ দেওয়া কঠিন। ছেলেদের মাঝে এই অভ্যাসটা দেখতে চাচ্ছি। বল দেখলেই যেন শরীর সহজাতভাবেই বলের উপর ঝুঁকে পড়ে। ’
ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের ফিল্ডিংয়ে উন্নতি দেখে খুশি কোচ। তার আশা এশিয়া কাপে এর নুমনা দেখাবে ছেলেরা, ‘খুবই ভালো অবস্থায় আছে ওরা। তাদের পজিশনটা যদি এশিয়া কাপে দেখাতে পারে প্রতি ম্যাচে ৩০ রান আটকে দিতে পারবে ফিল্ডাররা। একটা ভালো ক্যাচ। দুই-একটা রান আউট, কয়েকটা ভালো ফিল্ডিং দলকে অনেক সহায়তা করতে পারে। ’
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে চারজন দুর্দান্ত ফিল্ডার আছে বলে জানান গোলাম মর্তুজা, ‘আমাদের টিমে বিল্পব, ধ্রুব, সাইফ অনেক ট্যালেন্ট ফিল্ডার। যেখানেই বল যাক ধরার চেষ্টা করবে তারা। নাঈমও অসাধারণ ফিল্ডার। বাকিরাও ভালো ফিল্ডার। তবে এই চারজন বিশেষ প্রতিভা। ’
দুই বছর পর পর অনূর্ধ্ব-১৯ দলে আসে নতুন ক্রিকেটার। কোচরা নতুন ব্যাচের টার্গেট সেট করে দেন আগের ব্যাচকে ছাড়িয়ে যাওয়ার, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেছে। আমরা আরও ভালো করতে চাচ্ছি। আগে যদি ভালো করার লেভেল ১০ থাকতো এখন আমরা ১২ তে নিয়ে যাচ্ছি। এরপরের ব্যাচ যখন আসবে ১২ এর জায়গায় ১৪ চিন্তা করবে। এভাবে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ২১ নভেম্বর ২০১৬
এসকে/এমআরপি