ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৫২ রান

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৫২ রান জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৫২ রান/ ছবি: সংগৃহীত

টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যান নেইল ব্রুমের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সবক’টি উইকেটের বিনিময়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।

ঢাকা: টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যান নেইল ব্রুমের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সবক’টি উইকেটের বিনিময়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য সফরকারী বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৫২ রান।

কিউদের হয়ে ব্যাট হাতে নেইল ব্রুম খেলেছেন অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংস।

আর টাইগারদের হয়ে বল হাতে মাশরাফি ৩টি, সাকিব ও তাসকিন ২টি করে এবং শুভাশীষ রায় ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। দলের বাকি উইকেটটি এসেছে রান আউট থেকে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) স‍াক্সটন ওভালে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে বল হাতে প্রথম ওভারেই সফলতা পান সফরকারী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ওভারের চতুর্থ বলটি কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলের পায়ে লাগিয়ে এলবি’র আবেদন তুলতেই আঙ্গুল উঁচিয়ে সায় দেন আম্পায়ার। ফলে দলকে কোন সংগ্রহ না এনে দিয়েই ক্রিজ ছাড়া হন ওপেনার মার্টিন গাপটিল।

গাপটিলের ফিরে যাবার পরে বেশ সন্তর্পণে ব্যাট চালিয়ে ১০ ওভার পর্যন্ত ও ১ উইকেটের বিনিময়ে দলকে ৩৭ রান নিয়ে এনে দেন কেন উইলিয়ামসন ও টম লাথাম। আর তাদের ব্যাটেই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। কিন্তু হঠাৎই তাদের সেই স্বপ্ন যাত্রায় বাধ সাধেন তাসকিন।

১১তম ওভারে তাঁর পঞ্চম বলটি কেন উইলিয়ামসন সোজা ব্যাটে খেলতে গেলে ব্যক্তিগত ১৫ রানে মিড অনে ধরা পড়েন সাকিবের হাতে।  ব্ল্যাক ক্যাপসরা তখনও ৩৭ রানের কোঠা পার হতে পারেনি। উইলিয়ামসনের বিদায়ের পর দলের সাথে ১০ রান যোগ করে সাকিবের বলে এলবি’র ফাঁদে পড়েন ওপেনার টম লাথাম।

২০ ওভারেই ৭৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড যখন ইনিংস মেরামতের চেষ্টায়রত ঠিক তখনই টাইগার শিবিরকে দারুণ এক ব্রেক থ্রু এনে দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২৩তম ওভারে তাঁর পঞ্চম ডেলিভারিটি জেমস নিশাম ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে চাইলে ব্যক্তিগত ২৮ রানে তাকে স্ট্যাম্পড করে ক্রিজ ছাড়া করেন নুরুল হাসান সোহান। স্বাগতিকদের দলীয় সংগ্রহ তখন ৯৮ রান।

নিশামের ফেরার পরে ২৬তম ওভারে দলে সংগে ৯ রান যোগ করে অর্থাত দলীয় ১০৭ ও ব্যক্তিগত ৩ রানে মাশরাফির দারুণ এক ইন সুইংয়ে পরাস্ত হন কলিন মুনরো। ফলে ১০৭ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।

দলীয় ১০৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে যাওয়া স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ড পঞ্চম উইকেটের দুই ব্যাটসম্যান নেইল ব্রুম ও লুক রনকির ব্যাটে বেশ ভালই প্রতিরোধ গড়েছিল। কিন্তু তাদের প্রতিরোধের পথে আবার বাধ সাধলেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

৩৭তম ওভারে তাসকিনের তৃতীয় বলে তানবির হায়দারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে লুক রনকি ব্যক্তিগত ৩৫ রানে প্যাভিলনে ফিরলে স্বাগতিকদের রানের চাকা মন্থর হয়ে পড়ে। সেই মন্থর চাকাকে আরও গতিশীল করে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের লক্ষ্যে সপ্তম উইকেটে ভালই খেলছিলেন নেইল ব্রুম ও মিচেল স্যান্টনার।

তবে ব্রুমকে খুব বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি স্যান্টনার কেননা, দলীয় ১৯৮ রানে শুভাশীষের বলে ব্যক্তিগত ৯ রানে তিনি ক্যাচ তুলে দেন মাশরাফির হাতে।

এরপর টিম সাউদেক ব্যক্তিগত ৩ রানে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন সাকিব। আর লকি ফার্গুসনকে ব্যক্তিগত ৪ রানে  নিজের তৃতীয় শিকার পরিণত করেন মাশরাফি।

কিউদের শেষ ব্যাটসম্যান ট্রেন্ট বোল্ট ব্যক্তিগত ১২ রানে হয়েছেন রান আউট।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এইচএল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।