ইয়ান বোথামের বই বিফি’স ক্রিকেট টেলসে এমন অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন সৌরভ।
সেখানে তিনি জানান, ‘ইংল্যান্ডে গেলে আমি সাধারণত নিজে ড্রাইভ করি।
গাঙ্গুলি আরও জানান, ‘ওদের উশৃঙ্খলতা আমার ভালো লাগছিল না। একজন বিয়ার শেষ করে আমাদের দিকে বিয়ারের ক্যানটি ছুঁড়ে মেরেছিল। তাদের একজন আমাদের দিকে বাঁকাচোখে তাকাচ্ছিল। আমি সিধুকে বলেছিলাম, এসব ঝামেলায় আমাদের না জড়ানোই ভালো। আমি বিয়ারের ক্যানটি একদিকে উঠিয়ে রাখি। কিন্তু, একজন যুবক আমার কাছে উঠে এসে প্রশ্ন করে ‘তুমি কি বলেছো?’
এ কথা শোনার পর আমার কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি। তবে, সিধু ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। সিধু ওদের দিকে তেড়ে যায়। আমি বার বার বলেছি, ‘আমি কিছু বলিনি। ’ কিন্তু ততক্ষণে ঝামেলা যা হবার হয়েছে। বুঝতে পারছিলাম আমরা ভালো একটা সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি। কিন্তু, পরক্ষণেই মনে হলো, যা হবার হবে। এর শেষ দেখে ছাড়বো। তাই নিজের চশমাটি খুলে একদিকে ছুঁড়ে ফেলি। ’
গাঙ্গুলি যোগ করেন, ‘এরপর কোনো কিছু না ভেবে ওদের ধাক্কা দিয়েছিলাম। দুই পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কি হয়৷ এ সময় স্টেশন এসে যায় গেলে গেট খুলতেই একজনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলাম৷ এরপর যা ঘটেছিল তা এক কথায় ভয়াবহ। বুঝতে পারলাম কেউ একজন আমার কপালে বন্দুক ঠেকিয়েছ। ভাবলাম, এই ট্রেনেই জীবনের সব শেষ হয়ে গেল। ’
কীভাবে রক্ষা পেলেন সে ঘটনাও জানিয়েছেন গাঙ্গুলি। তিনি জানান, ‘ঠিক সেই সময়ে তাদের সঙ্গে থাকা এক তরুণী আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে। সে ছেলেটিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। ছেলেটি আর ঝামেলা বাড়াতে চায়নি। ওই মেয়েটির জন্যই হয়তো আমরা বেঁচে যাই৷’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬
এমআরপি