ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

স্বাগতিকদের হারিয়ে প্রোটিয়াদের লিড

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
স্বাগতিকদের হারিয়ে প্রোটিয়াদের লিড ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ নারী দলকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের জয়টি ৮৬ রানের। এর ফলে, পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি শেষে ১-০ তে এগিয়ে রইলো সফরকারীরা।

আগে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ গড়ে সফরকারীরা। স্বাগতিকদের জয়ের জন্য ২৫২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় প্রোটিয়ারা।

জবাবে, ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৫ রান।
 
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সফরকারী দ. আফ্রিকা তিন উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে।

প্রোটিয়াদের হয়ে ওপেনিং জুটিতে ১২২ রান তোলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিজেলি লি এবং আন্দ্রে স্টেইন। লি’র ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৭ রান। নাহিদা আকতারের বলে পান্না ঘোষের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনি ৭১ বলে ৬টি চার আর ৭টি ছক্কায় তার ইনিংসটি সাজান।

আরেক ওপেনার স্টেইন করেন ৬৮ রান। তার ১২৩ বলের ইনিংসে ছিল মাত্র দুটি বাউন্ডারি। তিন নম্বরে নামা ডু পেরেজ করেন অপরাজিত ৬২ রান। ৮৭ বলে ৫টি চারের সাহায্যে তিনি তার ইনিংসটি সাজান। ট্রাইওনের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। অপরাজিত থাকা মারিজান্নে ক্যাপ করেন ২০ রান।

বাংলাদেশের হয়ে সালমা খাতুন দুটি উইকেট তুলে নেন। বাকি উইকেটটি যায় নাহিদার দখলে।

২৫২ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ নারী দল। দলীয় ৫৬ রানেই হারায় চার উইকেট। দলীয় ৫ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার শারমিন আখতার (২)। আরেক ওপেনার সানজিদা ইসলাম (৮) দলীয় ২৭ রানের মাথায় বিদায় নেন।

তিন নম্বরে নামা ফারজানা হক করেন ১২ রান। অলরাউন্ডার সালমা খাতুনের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। চার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। তবে, দলপতি রুমানা আহমেদ এবং উইকেটরক্ষক নিগার সুলতানা ভালো একটি জুটি গড়েন।

রুমানার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। তার ৮০ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর একটি ছক্কার মার। নিগারের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৯ রান। ৯০ বল মোকাবেলা করে নিগার ৭টি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন। ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন জাহানারা আলম। রিতু মনি ১ রান করে বিদায় নেন।

আগামী ১৪ জানুয়ারি কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ১২ জানুয়ারি ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।