ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

টাইগারদের লজ্জার হার; কাঠগড়ায় সিনিয়রদের ব্যাটিং

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৭
টাইগারদের লজ্জার হার; কাঠগড়ায় সিনিয়রদের ব্যাটিং ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ড গিয়ে স্বাগতিক দলটির বিপক্ষে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজে সফরকারী বাংলাদেশের হোয়াটওয়াশের কারণ হিসেবে সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংকেই দায়ী করলেন, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের হারের অন্যতম কারণ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দুষলেন পাপন।      

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে পাপনের অভিমত, ‘ওয়ানডে তিনটির মধ্যে দুটোতেই আমাদের জয়ের সম্ভাবনা ছিল।

এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা সাধারণত জয় পাই। টি-টোয়েন্টিতেও তাই। জয়ের সম্ভাবনা আমাদের তৈরি হয়েছিল, কিন্তু আমরা পারিনি। এই দুই ফরমেটে হারের যে কারণ সেটা কিন্তু ঘুরে ফিরে একটাই। ব্যাটিংটাই, আমাদের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা ওয়ানডেতে আমরা এত সুন্দর ওপেনিংয়ের পরেও মিডল অর্ডার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মানে কোনো রানই আমরা করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের ভালো রান হওয়া উচিত ছিল। ওয়ানেডতে টপ অর্ডার ভালো ব্যাটিং করছে। ’

পাপন যোগ করেন, ‘আপনি যদি টি-টোয়েন্টি সিরিজ দেখেন, দেখবেন টপ অর্ডাররা ওয়ানডের মতো রান করতে পারেনি। ওয়ানডেতে টপ অর্ডার যে ভূমিকা রেখেছে সেটা রাখতে পারলেও আমাদের স্কোরটা আরও ভালো হত। ’

টি টোয়েন্টিতে টপ অর্ডাররা ভালো করলেও টেস্টে তারা সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি জানিয়ে পাপন বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি টেস্টের জন্য আমাদের আলাদা প্লেয়ার রাখতে হবে। এর প্রধান কারণ ছিল শট নির্বাচন। আমাদের টপ অর্ডারে যেসব সিনিয়র প্লেয়াররা আছে তারা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে যে স্টাইলে খেলেছে, টেস্টেও একই স্টাইলে খেলেছে। টেস্ট খেলার একটা ধরন আছে। যেহেতু পাঁচ দিনের খেলা, সেহেতু লম্বা সময় ধরে খেলতে হয়। টেস্টে তিনটা অপশন থাকে, একটা ড্র যা পরিস্থিতি বুঝে খেলতে হয়। একটা জয় ও একটা হার। ’
 
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘আপনি যদি প্রথম টেস্ট দেখেন, দু’দলের যেখানে ১ হাজারের মতো রান হয়েছে, সেই ম্যাচ ওদের জেতার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। ওই ম্যাচে আমাদের যা করণীয় ছিল; সময় নষ্ট করবো ও বেশি সময় ধরে খেলবো। তাতে করে হয় জিতবো না হয় ড্র করবো। আমাদের আরও ১ থেকে দুই ঘণ্টা ক্রিজে থাকা উচিৎ ছিল। নিশ্চিত ড্র হতো, না হলে আমরা জিততাম। ’

পাপন যোগ করেন, ‘পরিতাপের বিষয় হলো আমাদের ড্র কিংবা জয় আসেনি। দলের জন্য যেটা দরকার, দেশের জন্য যেটা দরকার, পরিস্থিতি মোতাবেক যেটা দরকার সেটা তারা করেনি। বেশিরভাগ সিনিয়র খেলোয়াড়দের ব্যাটিং ছিল এমনই। সহজ ক্যাচ হাত থেকে পড়েছে। রান আউট হওয়ার হিরিক দেখা গেছে। টেস্টে রান নেয়ার এমন কি তাড়া থাকে? বিষয়টি এমন না যে একটি রান হলেই আমরা ম্যাচ জিতবো। রান আউট হতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ার মতো ঘটনাও ছিল। এর পেছনেও কারণ ছিল দায়িত্বহীন ব্যাটিং। আমি সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের কথা যদি বলি, তারা প্রত্যেকে এত বছর ধরে খেলে আসছে, অথচ তাদের পরিকল্পনা ও চিন্তাধারা নেই। ওদের প্ল্যানিং বোঝা যায় শট নির্বাচনে। যখন মুশফিক, ইমরুল ও মুমিনুল ইনজুরিতে তখন যদি আপনি বাজে রকমের শট খেলে আউট হয়ে বলেন, আমিতো প্রথম ইনিংসে রান করেছি, তাহলে হবে না। বারবার একই শটে আউট হচ্ছে মানে বোলাররাও তাকে একই বল দিচ্ছে। অতএব বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। ’   
        
তবে পাপন ব্যাটসম্যানদের দোষী করলেও প্রশংসা করেছেন বোলারদের ও নতুনদের, ‘বোলিংয়ের কথা যদি বলি, তাহলে বলবো ওই ধরনের কন্ডিশনে দারুণ বোলিং ছিল। অভিষিক্ত হয়েও তাসকিন, রাব্বি বোলিংয়ে ভালো করেছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।