বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিশ্বকাপ বাছাইকে সামনে রেখে দলীয় অনুশীলন শেষে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন নিগার।
তিনি জানান, ‘সত্যি কথা বলতে আমি কোনো কিছু না ভেবেই ব্যাটিং করেছি।
প্রোটিয়া নারী দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন ব্যাকফুটে বাংলাদেশ, ঠিক তখনই দলের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন নিগার। তার অপরাজিত ৫৯ রানেই ওই ম্যাচে ১৬৫ রানের সম্মানজনক সংগ্রহের দেখা পায় বাংলাদেশ। যদিও রুমানারা ম্যাচটি ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে।
একথা ঠিক, সফরকারীদের কাছে স্বাগতিকরা ৪-১ এ সিরিজ হেরেছে। কিন্ত তারপরেও ততটা হতাশ নন এই টাইগ্রেস সদস্য, ‘আমাদের দ্বিতীয় ম্যাচটি বেশ ক্লোজ ছিল, মাত্র ১৭ রানে হেরেছি। আমরা একটি ভালো জুটি গড়েই ২০৬ এর এত কাছে গিয়েছি। কিন্তু বড় দলের সাথে এমন লড়াকু খেলাটিই আমাদের বড় প্রাপ্তি। আর এই ম্যাচে এমন ভালো করার জন্যই তৃতীয় ম্যাচে জিততে পেরেছি। কারণ ওরা আমাদের দ্বিতীয় ম্যাচের খেলা দেখে চাপে পড়ে গিয়েছে। এটাই আমাদের প্রাপ্তি যে, র্যাংকিংয়ে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা একটি দলকেও চাপে রাখতে পেরেছি। ’
বরাবরের মতো এই সিরিজেও বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটিং দৈন্যতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে বরাবরই ভালো করা দলটি ব্যাটিংয়ে আরেকটু সতর্ক হলেই নাকি আর কোনো সমস্যাই থাকেনা বলে মনে করেন নিগার, ‘আমাদের বোলিং ও ব্যাটিং সাইড বরাবর ভালো হলেও ব্যাটসম্যানরা প্রত্যাশা মতো কিছু করতে পারছি না। দ্রুতই আমাদের টপ অর্ডাররা আউট হয়ে যায়, যাতে করে পরে যে ব্যাটসম্যানরা আসে তাদের জন্য চাপ হয়ে যায়। এটা অনেক বড় একটা হতাশার কথা। এই সমস্যা যদি আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি, ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা যদি বড় ধরনের জুটি গড়তে পারে, তাহলে সেটা পরবর্তী ব্যাটসম্যানের জন্য অনেক কাজে আসে। কেননা তারা অনেকটাই চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবে। তাতে বড় স্কোর পেতেও সুবিধা হয়। ’
এদিকে ফেব্রুয়ারি থেকে কলম্বোতে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলা। বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে কোনো দলকেই এতটুক ছাড় না দেয়ার প্রত্যয় করে এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যন জানালেন, ‘আমাদের কাজ হবে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে পরিকল্পনা অনুয়ায়ী খেলা। আর এই পরিকল্পনাটি যদি আমরা মাঠে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি তাহলেই হবে। হোক সে বড় বা ছোট দল। আমরা কাউকেই ছেড়ে কথা বলবো না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭
এইচএল/এমআরপি