এর আগে আইপিএলে বেশ কয়েকটি দলের হয়ে সফল ছিলেন ইরফান। এবারে বাঁহাতি এ তারকার সুযোগ না পাওয়াটাই এক রকম চমক ছিল।
এদিকে, বারোদার দল থেকে বাজে পারফর্মের কারণে বাদ পড়েছেন ইরফানের ভাই ইউসুফ পাঠান। তবে, কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা এই হার্ডহিটার এবারো সাকিবদের সতীর্থ হয়ে মাঠে থাকবেন।
২০১০-এ পিঠে পাঁচবার ফ্র্যাকচারের পর ক্রিকেটে ফেরার কোনো আশাই ছিল না ইরফানের। ফিজিও জানিয়ে দিয়েছিলেন আর খেলা হবে না তার। তবে, ক্রিকেট চালিয়ে যাবার স্বপ্নটা ছাড়েননি ইরফান । তাই ফিরেছেন ক্রিকেটে। সাফল্যের সঙ্গেই ফিরেছেন। কিন্তু এবারের আইপিএল এ দল না পেয়ে হতাশ ইরফান নিজের সেই সময়ের কথাই ভাগাভাগি করে নেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
৫০ লাখ ভারতীয় রুপি বেস প্রাইজ নিয়ে দল পাননি ইরফান। এটা সত্যিই চমক ছিল। ৩২ বছরের পাঠান সদ্য ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্টে ভালোই খেলেছেন। ফিটনেসের পিছনেও খেটেছেন তিনি। কিন্তু আইপিএল খেলতে না পারার হতাশাটা বেরিয়ে এসেছে ভীষনভাবে। তিনি জানান, ‘আমি মৌসুম শুরুর আগে থেকে প্রচুর খেটেছি। ফিল্ডিংয়েও অনেক উন্নতি করেছি। ’
গতবার পাঠান খেলেছিলেন রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে। কিন্তু প্রথম একাদশে তেমনভাবে খেলার সুযোগ পাননি। ভেবেছিলেন এবার আইপিএল খেলার সুযোগ পাবেন। আইপিএলে এখন পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, কিংস ইলিভেন পাঞ্জাব ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়েও খেলেছেন। এই অলরাউন্ডার দেশের হয়ে ২৯টি টেস্ট, ১২০টি ওডিআই ও ২৪ টি-২০ খেলেছেন। শেষ দেশের হয়ে শেষ খেলেছেন অক্টোবর ২০১২’তে।
আইপিএলের দশম আসরে সুযোগ না পেলেও জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন এখনও দেখছেন ইরফান। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ভালো খেলেই জাতীয় দলে আবারো ফিরতে প্রত্যয়ী ইরফান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এমআরপি