দুর্নীতির অভিযোগে শারজিল খান, খালিদ লতিফের পর মোহাম্মদ ইরফানকে নিয়ে বিপাকে ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তারপর সব ধরনের ক্রিকেটে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয় আরেক পাকিস্তানি নাসির জামশেদকে।
প্রথম ধাপে খালিদ লতিফ ও শারজিল খানকে সাময়িক নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দুর্নীতির অভিযোগে তাদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে। একই অভিযোগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানকে। কিন্তু, শারজিল খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশের মানহানি হয় এমন কিছুই করেননি তিনি।
২৭ বছর বয়সী এই ওপেনার জানান, ‘আমি নিষিদ্ধ হওয়ার মতো কোনো খারাপ কাজ করিনি। দেশের বদনাম হবে এমন কোনো কাজও করিনি। সত্যিটা খুব দ্রুতই সামনে আসবে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড মিডিয়ায় কিছু বলা থেকে বিরত থাকতে বলেছে। আমি বোর্ডের কাছে জানাতে চাই, আমি অবৈধ কিছু করিনি। আশা করি সবকিছুই খুব দ্রুত ভালোর পথে যাবে। ’
শুধু পিএসএলের দল থেকেই নয়, ঘরোয়া ক্রিকেট দল ইউনাইটেড ব্যাংক থেকেও আপাতত নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন শারজিল খান।
স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডে আরও ক্রিকেটার জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে এখন তদন্ত চলছে। বিস্তারিত তদন্তের জন্য নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শারজিল খান ব্যক্তিগত ১ রানে হাস্যকরভাবে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে আউট হন। এরপরই তার উপর নিষেধাজ্ঞার খরগ নেমে আসে। ফলে, পরের ম্যাচগুলোতে আর খেলা হয়নি পাকিস্তানি এই ওপেনারের।
পিসিবি থেকে জানানো হয়, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায় পিএসএলকে কলুষিত করতে একটি আন্তর্জাতিক চক্র অবৈধ টাকার লেনদেন করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন ইউনিট ও আকসু। অভিযোগ পাওয়ায় ক্রিকেটারদের সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। পিএসএলের সততা রক্ষার স্বার্থে আইসিসির সাহায্য নিয়ে পিসিবি বৃহৎ পরিসরে তদন্ত করছে এবং এটি চলতে থাকবে। নিষিদ্ধরা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত যেকোনো টুর্নামেন্ট এবং আইসিসি সমর্থিত যেকোনো আয়োজনে নিষিদ্ধ থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এমআরপি