প্রথম ইনিংসে ৩টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯টি। এক ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী সানজামুল।
‘লংগার ভার্সন বিসিএলে সে খুব ভালো খেলেছে। এছাড়া গত প্রিমিয়ার লিগে যথেষ্ট ভালো করেছে। সে হিসেবে সাঞ্জামুল পরীক্ষিত, ফার্স্ট ক্লাসে (প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট) খুব ভালো করছে। ভালো বোলিং করে যাচ্ছে এজন্যই ওকে নেওয়া। ’
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডে গণমাধ্যমকে নান্নু এসব কথা জানান।
দলের সেরা কম্বিনেশনের জন্য একজন বাঁহাতি স্পিনারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমাদের পরিকল্পনা ছিল বাঁহাতি স্পিনার হবে এবং দরকার হলে ব্যাটিং করতে পারবে সে হিসেবে কম্বিনেশন নিয়ে এইচপিতে ওকে আমরা তৈরী করেছি। ’
শুভাগত হোমকে দলে নেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন নান্নু, ‘প্রতিটি সিরিজেই টিম ম্য্যানেজমেন্টের একটা চাওয়া থাকে। সবসময়ই কোচ আমাদের বলে এ ধরণের খেলোয়াড় লাগবে। এটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। এটা জানা উচিত তিনজন যে সিলেকশন প্যানেল আছি তার সঙ্গে কিন্ত আরও দু’জন আছে। টিম ম্যানেজমেন্টে হেড কোচ হাথুরুসিংহে আছেন, খালেদ মাহমুদ সুজন আছেন এই পাঁচজন মিলে কিন্ত আমাদের সিলেকশন প্যানেল। তাদের মেসেজ থাকে যে ওই ধরণের প্লেয়ার দরকার। আমাদের একটা প্ল্যান দেয়। এভাবেই আমাদের কাজ করতে হয়। ’
২০১১ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় শুভাগত হোমের। এর তিন বছর পর কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা পোশাকে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। অভিষেকের পর এই পর্যন্ত ৮টি টেস্ট খেলে মোট আট উইকেট থলিতে পুড়েছেন শুভাগত। তবে ৪টি ওয়ানডে খেলে থেকেছেন উইকেটশূন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ১৪ মার্চ, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম