টানা পাঁচটি টেস্ট (নিউজিল্যান্ড, ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফরে) খেলার পর মুশফিকদের সামনে একদিনের ক্রিকেট মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। হেরে গেলেও প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দু’টি ওয়ানডে যেহেতু ডাম্বুলায় সেক্ষেত্রে ভেন্যুটির পরিসংখ্যান তুলে ধরা যাক। যা একেবারেই বাংলাদেশের বিপক্ষে! তাতে কী! কলম্বোর পি সারা ওভালে আগের তিন ম্যাচেই ইনিংস ব্যবধানে হারের দুঃস্মৃতি এখন তো কেবলই অতীত। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে শততম টেস্ট জিতে কলম্বো টেস্ট স্মরণীয় করে রেখেছে টিম বাংলাদেশ।
ডাম্বুলায় এর আগে কখনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ম্যাচ খেলা হয়নি টাইগারদের। সবশেষ ২০১০ সালের জুনে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের তিন ম্যাচেই ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন সাকিব-মুশফিক-মাশরাফিরা।
সেটা অনেক আগের কথা। সময়ের পরিক্রমায় ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পরিণত শক্তি টাইগাররা। টেস্ট সিরিজে সাফল্যের পর ওডিআইতেও জয়োল্লাস দেখার অপেক্ষায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অগণিত ভক্ত-সমর্থকরা।
এ সিরিজ দিয়ে মাশরাফিদের সামনে লঙ্কানদের টপকে র্যাংকিংয়ের ছয়ে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ। জিততে হবে তিন ম্যাচেই। ২-১ এ সিরিজ জিতলেও আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। বাংলাদেশের ২ রেটিং পয়েন্ট বাড়ার বিপরীতে ১ রেটিং পয়েন্ট হারাবে শ্রীলঙ্কা। ব্যবধান কমে দাঁড়াবে চারে। বর্তমানে দু’দলের রেটিং পয়েন্ট যথাক্রমে ৯৮, ৯১।
মুখোমুখি লড়াইয়ে যোজন যোজন এগিয়ে লঙ্কানরা। ৩৮ ম্যাচের মধ্যে ৩৩টিতেই জয় পায় তারা। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। তবে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে বাড়তি পারদ যোগাচ্ছে শ্রীলঙ্কার মাটিতে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজের ফলাফল। চার বছর আগে পাল্লেকেলের তৃতীয় ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়েছিল মুশফিকের নেতৃত্বে খেলা বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচের সিরিজ শেষ হয় ১-১ (দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত) সমতায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ২৩ মার্চ, ২০১৭
এমআরএম