হংকং এর ছুঁড়ে দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দল যখন মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে পৌঁছে গেল-ম্যাচে তখনও বল বাকি ২০৩টি। অর্থাৎ মাত্র ১৬ ওভার এক বলেই জিতে যায় বাংলাদেশ।
এদিন সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল নয়টায় টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে হংকং। ইনিংসের দুই দশমিক ৩ ওভারে অধিনায়ক অনসুমানকে হারায় হংকং। আবুল হাসান রাজুর বলে এলবির শিকার হন তিনি। ৩১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় হংকং। তবে ২০তম ওভারের তৃতীয় বলে রাহাতুল জাভেদ নিয়াজাত খানকে বোল্ড করলে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি আইসিসির এই সহযোগী দেশটি। ২৩ তম ওভারে নাসির ওয়াকাস খানকে ফেরান নাজমুল হোসাইন শান্তর দুর্দান্ত ক্যাচের বিনিময়ে।
এরপরেরটা মুমিনুল হকের দাপট। মাত্র চার ওভার বল করে ১১ রানের বিনিময়ে মুমিনুল তুলে নেন বাংলাদেশের পথের কাঁটা হয়ে উইকেটে থাকা বাবর হায়তকে। সঙ্গে ওয়াকাস বারখাত আর জাথার উইকেট তো আছেই। অধিনায়কের পাশাপাশি দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সহ অধিনায়ক নাসির হোসাইনও।
তিনি ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে তুলে নেন প্রতিপক্ষের তিন উইকেট। এছাড়া রাহাতুল জাবেদ দুই ও রাজু পান একটি উইকেট।
মাত্র ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বেশ মেরে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও আজমির আহমেদ। মাত্র ৫ ওভার চার বলে আজমির যখন আউট হন দলের রান তখন ৪৬। আজমির আউট হলেও অনুর্ধ্ব ১৯ এর অধিনায়ক সাইফ হাসানকে আউট করতে পারেনি হংকংয়ের বোলাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মাত্র ৪৭ বলে ৯টি চার আর একটি ছক্কার বিনিময়ে এই ইনিংস সাজান সাইফ।
এছাড়া তিন নম্বারে নেমে দর্শকদের ছোট্ট একটি টর্নেডো উপহার দেন ঘরের ছেলে মুমিনুল। ১৪ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ২১ রান করে ফেরেন তিনি। ১৬ দশমিক ১ ওভারে অনুর্ধ্ব ১৯ এর সাবেক সহ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে জয়ের বন্দরে দলকে নিয়ে যান সাইফ হাসান। শান্ত করেন ২৩ বলে ২৪ রান। হংকংয়ের হয়ে দুটি উইকেটই পান এহসান খান।
দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরির জন্য ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন সাইফ হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
টিএইচ/টিসি