চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২১ বছরের দুর্দান্ত ক্যারিয়ারের ইতি টানেন আফ্রিদি। ২০১০ সালে টেস্ট ও ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন আফ্রিদি।
আফ্রিদি সর্বশেষ পাকিস্তানের হয়ে ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। সেবার দলটির পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। তার অধীনে পাকিস্তান ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপও খেলেছিল। ‘বুম বুম’ নামে পরিচিত আফ্রিদি ১৯৯৬ সালে নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেই বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে গড়েন বিশ্ব রেকর্ড। যা পরবর্তীতে ১৮ বছর টিকে ছিল।
বিভিন্ন সময় বোর্ডের কাছে উপেক্ষিত থাকা আফ্রিদি পিসিবি আর পাকিস্তান সুপার লিগের চেয়ারম্যান নাজাম শেঠিকে ইঙ্গিত করে জানান, ‘আপনাদের অনেক ধন্যবাদ যে আমাকে সংবর্ধনা দিতে চেয়েছেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমার কিছু কমিটমেন্টের কারণে, আপনারা যদি সংবর্ধনার আয়োজন করেন, তাতেও আমি সময় দিতে পারবো না। তবে আশা করি, ফেয়ারওয়েল দেয়ার নিয়মটা যেন নিয়মিত হয়। ’
এদিকে, সদ্য অবসরের ঘোষণা দেওয়া ইউনিস খান, মিসবাহ উল হককে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পিসিবি।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে আফ্রিদি নিজেকে লেগ স্পিনার অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাতে পাকিস্তান ২০০৯ টি-২০ বিশ্বকাপ ঘরে তোলে। ডানহাতি হার্ডহিটার এ ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারে ২৭টি টেস্ট খেলেছেন। যেখানে ১ হাজার ১৭৬ রানের পাশাপাশি ৪৮টি উইকেট নিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে তার সেরা স্কোর ১৫৬। তবে দীর্ঘ ক্যারিয়ার জুড়ে ৩৯৮টি ওয়ানডে খেলেছেন। করেছেন আট হাজারের বেশি রান। পেয়েছেন ৩৯৫ উইকেট।
টি-২০ ক্রিকেটের প্রথা চালু হওয়ার পর এই ফরম্যাটেও বেশ সফল ছিলেন আফ্রিদি। খেলেছেন ৯৮টি ম্যাচে। যেখানে তার রান ১ হাজার ৪০৫ আর উইকেট নিয়েছেন ৯৭টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ২৮ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি