বেঙ্গালুরুর মাঠে আইপিএলের ৪৬তম ম্যাচে মাঠে নামে দুই দল। আগে ব্যাট করা বেঙ্গালুরু নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫৮ রান।
বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করার পর ব্যাট হাতে রীতিমতো টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন ওপেনার খেতাব পেয়ে ক্রমেই নিজেকে প্রমাণ করা নারাইন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে পাওয়ার প্লেতে আইপিএলের এই আসরে সর্বোচ্চ রান তুলতে সাহায্য করেন ক্রিস লিন। নারাইনও এবারের আসরে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
আগে ব্যাট করা বেঙ্গালুরুর ওপেনার ক্রিস গেইল খেলতে নেমেছিলেন আইপিএলের ১০০তম ম্যাচ। আর দুর্দান্ত এই মাইলফলকের ম্যাচে গেইল করেন ০ রান। গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আরেক ওপেনার মানদীপ সিং ৪৩ বলে ৫২ রান করেন। তিন নম্বরে নামা দলপতি কোহলির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। আরেকবার ব্যর্থতার পরিচয় দেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক।
ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। কেদার যাদব ৮, পবন নেগী ৫ রানে বিদায় নেন। ব্যাটে ঝড় তুলেন ট্রেভিস হেড। মাত্র ৪৭ বলে করেন অপরাজিত ৭৫ রান। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর পাঁচটি ছক্কার মার।
কলকাতার পেসার উমেস যাদব ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় তুলে নেন তিনটি উইকেট। ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় দুটি উইকেট পান নারাইন। একটি উইকেট নেন ক্রিস ওকস।
১৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই প্রান্ত থেকেই ঝড় তোলেন ক্রিস লিন আর নারাইন। ওপেনিং জুটিতেই আসে ১০৫ রান, সেটিও আবার ৬ ওভারে। পাওয়ার প্লেতে এতো রান এর আগে কোনো দল তুলতে পারেনি। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন নারাইন। তার আগেই স্পর্শ করেন আইপিএলের এবারের আসরের দ্রুততম ফিফটি। মাত্র ১৫ বলে ফিফটির দেখা পান এই ক্যারিবীয়ান স্পিনার। ১৭ বলে ৫৪ রান করার পথে তার ব্যাট থেকে ৪৮ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে। নারাইনের ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর ৪টি ছক্কা।
২১ বলে ফিফটি করেন লিন। দলীয় ১০৭ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় কলকাতা। ২২ বলে ৫টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৫০ করেন লিন। তিন নম্বরে নামা কলিন ডি গ্রান্ডহোম ২৮ বলে করেন ৩১ রান। দলপতি গৌতম গম্ভীরের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ০৭ মে ২০১৭
এমআরপি