ভাবলাম এককাপ কফি খেয়ে তবেই লিখতে বসি। এরপর যখন ল্যাপটপে একই হারের গল্প সাজাচ্ছি ততক্ষণে কার্ডিফে রচিত হচ্ছিলো নতুন এক জয়ের সূচনা গল্প।
একটু পরপরই একটা ঠক করে শব্দ। আর দুই ব্যাটসম্যানের ব্যঘ্রগতিতে জায়াগা বদল। চারিদিকটা কেমন যেনো একটা ছন্দময় মনে হতে লাগলো।
নিজের অজান্তেই তখন সামনে ল্যাপটপ খোলা পড়ে থাকলো। কিছুটা সময়ের জন্য যেনো সাংবাদিক নয়, দর্শকই বনে গেলাম। দেখলাম কার্ডিফে এক মহাকাব্যের সূচনাপর্ব। সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ তখন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি।
শুক্রবার (০৯ জুন) বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের যে একটি মহাকাব্য রচিত হলো তার অভিজ্ঞতা বর্ণণায় এভাবেই বলছিলেন মহিবুর রহমান হিল্লোল। হিল্লোল বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট। কাজ করেন স্পোর্টস বিভাগে। এবার কাভার করছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
![ঐতিহাসিক জয়ের পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের গর্জন](http://cdn.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/Mahmudullah-120170610202327.jpg)
আসলে দল যখন জেতে তখন কিন্তু লিখতে হয় অনেক বেশি, হারার পরে এত কিছু লেখা লাগে না। জিতে গেলে তখন অনেক চাপ নিতে হয়। দলের জয়ের রিপোর্টতো রয়েছেই, প্রত্যেক সেরা পারফরমারকে নিয়ে আলাদা স্টোরি লেখা, রেকর্ড হয়ে গেলে তার বিশ্লেষণ, আবার প্রেস কনফারেন্স। সত্যি কথা বলতে কি শুক্রবার সন্ধ্যায় এগুলো করতে সামান্য খাটুনিও বোধ হয়নি।
স্পোর্টস সাংবাদিকতায় অর্ধ দশকের অভিজ্ঞতা মহিবুর রহমান হিল্লোলের। বলছিলেন, সেই সূচনা পর্বে সাকিব আল হাসানের বডি ল্যাঙুয়েজটা পাঠ করে নিচ্ছিলাম। এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের একটি দিক আমাদের স্পোর্টস জার্নালিস্টদের কাছে পরিচিত। দেখবেন সাংবাদিকদের অনেকেই বলেছেন তারা আগেই বুঝতে পারছিলেন আজকের বিকেলটি হবে সাকিবের। আমারও তাই মনে হচ্ছিলো, আর তাই হলো।
আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ছিলো জয়ের, দৃঢ়তার।
![টাইগারদের সাহস যুগিয়েছেন সমর্থকরা](http://cdn.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/Mohibur-120170610202419.jpg)
আসলে গোটা দেশই বেশ কিছুটা সময় ধরে সাকিব ও রিয়াদকে মিস করছিলো, তাদের এই অসাধারণ কামব্যাক আমাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে এমন একটি ম্যাচের রিপোর্ট লিখার অভিজ্ঞতা।
হিল্লোলের কাছে ওয়ান ডে ক্রিকেটে তার নিজের কাভার করা সেরা ম্যাচ ছিলো এটি।
বাংলাদেশ সময় ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
এমএমকে