ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ওয়াইড দিয়ে হাসির খোরাক, ১০ বলে নিলেন ৮ উইকেট

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
ওয়াইড দিয়ে হাসির খোরাক, ১০ বলে নিলেন ৮ উইকেট ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসেই ৩৫ ওভারের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ‘বি’ গ্রেড ক্রিকেটার জস ডানস্টন ইনিংসে ৪০টি ছক্কা হাঁকিয়ে করেন ৩০৭ রান। একটা জায়গায় পিছনে ফেলে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসকেই। দলের ৩৫৪ রানের মধ্যে একাই ৩০৭ রান করেন ডানস্টন।

দলীয় রানের ৮৬.৭২ শতাংশ রানই করেন তিনি। সেই সঙ্গে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসের ৩৩ বছর আগের রেকর্ড ভাঙেন এই অখ্যাত ক্রিকেটার।

১৯৮৪-তে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৭২ রানের মধ্যে ১৮৯ রান করেছিলেন ভিভ। দলীয় রানের ৬৯.৪৮ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে।

এবার অন্যরকম একটি কীর্তি গড়লেন অস্ট্রেলিয়ান বোলার নিক গডেন। ভিক্টোরিয়ার গ্রেড ‘সি’র ম্যাচে গডেন খেলেছেন ইয়ালোর নর্থ ক্লাবের হয়ে। সেন্ট্রাল গিপসল্যান্ড ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেছেন গডেন। হ্যাটট্রিক তো হরহামেশাই হচ্ছে। তবে, গডেনের হ্যাটট্রিকটি ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে। কারণ তিনি প্রথম ৫ বলেই তুলে নেন ৫ উইকেট। ম্যাচ শেষে তার শিকার দাঁড়ায় ১০ বলে ৮ উইকেট।

ডানহাতি মিডিয়াম এই পেসার ম্যাচ শেষে জানান, ‘আমি যে খুব ভালো বোলার তা কিন্তু নই। বোলিংয়ে গিয়ে প্রথম দুটি বলই ওয়াইড দিয়েছি। একটি অফ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে আরেকটি লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে। স্ট্যাম্পের পাশ দিয়ে একটি এতো বেশি দূর দিয়ে গিয়েছে যে মাঠে থাকা সবাই হেসে দিয়েছিল। তখনও উপভোগ করেছি। সতীর্থদের বলেছি যত দ্রুত আমরা ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমে ফিরতে পারবো তত দ্রুত আমাদের পেটে রিয়ার পড়বে। পরের বলটি খুব মনোযোগ দিয়েই করেছি। ’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘বোলিংয়ে গিয়ে স্পেশাল কিছু করবো ভাবিনি। কিভাবে যেন কি হয়ে গেল। আমি শুধু হাত ঘুরিয়ে বল ছেড়েছি। বলে গতিও দেইনি। তবে, প্রথম উইকেটটি পাওয়ার পরেই কেন জানি মনে হলো ভালো বল করার চেষ্টা করা দরকার। উপভোগ করেছি বোলিংটা। বোলিংয়ের জন্য আমি আলাদাভাবে কখনও অনুশীলন করিনি। ওটা আমাকে দিয়ে হয় না। তারপরও এই কীর্তিতে আমি খুশি, আমার পরিবার খুশি, দলও খুশি। এটা তো সচরাচর হয় না। আজ আমার ভাগ্যটা ভালো ছিল। ’

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের ৮ বছর বয়সী এক ক্রিকেটার ডুনেডিনের ব্রুকভিলে স্কুলের হয়ে ৬ বলে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ানডেতে টানা ৪ বলে ৪ উইকেট নেন শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। টি-টোয়েন্টিতে ২০১৩ সালে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে টানা ৪ বলে ৪ উইকেট নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। একই বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা ৪ বলে ৪ উইকেট নেওয়ার অনন্য রেকর্ড গড়েন বাংলাদেশের পেসার আল আমিন হোসেন।

তবে, ছয় বলে ছয় উইকেট নিয়েও কোনো বিশ্ব রেকর্ড হয়নি। ক্রিকেট ইতিহাসে টানা ৭ বলে উইকেট নেওয়ার উদাহরণ আছে অসংখ্য। ৮ বলে ৮ উইকেট আছে পাঁচটি। টানা ৯ বলে উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন পল হুগো। ১৯৩০-৩১ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার স্মিথফিল্ডে অ্যালিওয়াল নর্থের বিপক্ষে স্মিথফিল্ড স্কুলের হয়ে তিনি প্রথম এই রেকর্ড গড়েন। ৯ বলে ৯ উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় বোলার নিউজিল্যান্ডের অখ্যাত বোলার স্টিভেন ফ্লেমিং। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের ব্লেনহাইমে বোহালি স্কুলের বিপক্ষে মার্লবরো কলেজ ‘এ’ দলের ফ্লেমিং সেই কীর্তি গড়েন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।