ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

৯৭ রান নিয়েই লড়াকু রংপুর

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৭
৯৭ রান নিয়েই লড়াকু রংপুর ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিপিএলের এবারের আসরে সর্বনিম্ন স্কোরের পুঁজি নিয়েও প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ কাঁপিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স। টানটান উত্তেজনাপূণ্য ম্যাচটিতে মাত্র ৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩ বল বাকি থাকতে জয়োল্লাসে মাতে শীর্ষস্থানধারী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি সীমানায় ধরা পড়েন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (৫)। উইকেটে আসেন হাসান আলী।

জয়ের জন্য প্রয়োজন তখন ৭ বলে ৮। হাতে চার উইকেট। বোলিং প্রান্তে মাশরাফি বিন মর্তুজা। সবাইকে অবাক করে ডিপ মিড-উইকেটে ছক্কা হাঁকিয়ে নায়ক বনে যান পাকিস্তান পেস তারকা। শেষ ওভারে ইসুরু উদানার প্রথম দুই বল ডট দিলেও উইনিং শটে বাউন্ডারিতে ১৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মারলন স্যামুয়েলস।

ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসহজ টার্গেটে ওপেনিং জুটিতে ২২ রান তোলেন তামিম ইকবাল (২২) ও লিটন দাস (৩)। ব্যাটিংয়ের হতাশা ভুলে নিয়ন্ত্রিত বোলিং নৈপুণ্যে ভিক্টোরিয়ান্সের রানের চাকা আটকে রাখেন মাশরাফি-নাজমুলরা। ইমরুল কায়েস ১৪, জস বাটলার ৫, শোয়েব মালিক ২০ রান করে আউট হন। তিনটি উইকেট নেন মাশরাফি। স্পিনার নাজমুল ইসলাম ২টি ও অন্যটি সোহাগ গাজীর।

লো-স্কোরিং ম্যাচ হেরে শেষ চারের অপেক্ষা বাড়লো রংপুরের। জয় পেলে পরের রাউন্ডের দ্বারপ্রান্তে চলে যেতে পারতো টম মুডির শিষ্যরা। সেক্ষেত্রে সন্ধ্যার ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে রাজশাহী কিংস হারলে আজই ঢাকার সঙ্গে নিশ্চিত হতো রংপুরের শেষ চার। ইতোমধ্যেই কুমিল্লা ও খুলনা টাইটান্স শেষ চারে উঠে গেছে।

ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমশনিবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম পর্বের পর মিরপুরে ফেরে টি-টোয়েন্টির আমেজ। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কুমিল্লা দলপতি তামিম।

সাইফুদ্দিন-মেহেদির বোলিং তোপে দাঁড়াতেই পারেনি গেইল-ম্যাককালাম-বোপারাদের নিয়ে গড়া রংপুরের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ। তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগেই অলআউট রংপুর।

ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম১৭.১ ওভারে মাত্র ৯৭ রানে সবকটি উইকেটের পতন ঘটে। যা এখন পর্যন্ত পঞ্চম আসরের সর্বনিম্ন স্কোর। আগেরটি ছিল সিলেট সিক্সার্সের (১০১, ঢাকার বিপক্ষে)।

সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। মোহাম্মদ মিথুন ১৭ ও সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে আসে ১২। আর কেউই দুই অঙ্কের দেখা পাননি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ক্রিস গেইলকে ‘গোল্ডেন ডাক’ বানিয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতেন উদীয়মান অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। জিয়াউর রহমান ৬, চামারা কাপুগেদারা ২, নাহিদুল ইসলাম ৬, মাশরাফি ৯, উদানা ৯ রানে সাজঘরের পথ ধরেন।

ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমঅফস্পিন ঘূর্ণিতে একাই ৪টি উইকেট দখল করেন মেহেদী। আরেক তরুণ পেসার সাইফুদ্দিন তিনটি উইকেট নেন। একটি করে হাসান আলী ও আল আমিন হোসেন। ব্যক্তিগত ৪ রানে রানআউটের ফাঁদে পড়েন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রবি বোপারা।

রাউন্ড রবিন পর্বের দুই ম্যাচেই কুমিল্লার কাছে হারলো রংপুর। গত ১৮ নভেম্বর প্রথম দেখায় ১৪ রানের জয় পায় ২০১৫ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। পয়েন্ট টেবিলে ১০ ম্যাচ শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে উড়ছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১০ পয়েন্টে চতুর্থ স্থানেই রংপুর রাইডার্স। ১ পয়েন্ট এগিয়ে তিনে ঢাকা ডায়নামাইটস। দুইয়ে থাকা খুলনা টাইটান্সের সংগ্রহ ১৩।

ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমতলানির তিন দল যথাক্রমে রাজশাহী কিংস (৮), সিলেট সিক্সার্স (৭) ও চিটাগং ভাইকিংস (৫)। চিটাগংয়ের আর কোনো সুযোগ নেই। রাউন্ড রবিন পর্বে প্রত্যেকের আর দু’টি করে ম্যাচ বাকি। শীর্ষ চারটি টিম পা রাখবে পরের রাউন্ডে। যা ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে খুলনা ও কুমিল্লা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ২ ডিসেম্বর, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।