ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

শেষ চার নিশ্চিত করলো মাশরাফির রংপুর

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
শেষ চার নিশ্চিত করলো মাশরাফির রংপুর ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চলমান বিপিএলের ৩৮তম ম্যাচে মাঠে নামে শিরোপার দিকে চোখ রাখা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স এবং মাশরাফি বিন মর্তুজার রংপুর রাইডার্স। খুলনাকে ১৯ রানে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করলো মাশরাফির রংপুর। টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়লো নাসিরের সিলেট, মুশফিকের রাজশাহী, সৌম্য সরকারের চিটাগং।

টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার দলপতি মাহমুদুল্লাহ। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে রংপুর ১৪৭ রান তোলে।

জবাবে, নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে খুলনার ইনিংস থামে ১২৮ রানের মাথায়।

ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমরোববার (৩ ডিসেম্বর) শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এ ম্যাচটি রংপুরের জন্যই ছিল মহা গুরুত্বপূর্ণ। পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে থেকে খেলতে নামলেও পরের স্থানে থাকা সিলেট সিক্সার্স রংপুরকে চোখ রাঙাচ্ছিল। নাসির হোসেনের সিলেট ১১ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে। এই ম্যাচ জেতার ফলে মাশরাফির রংপুর ১১ ম্যাচ খেলে পেয়েছে ১২ পয়েন্ট। জিতেই শেষ চারে চলে গেল রংপুর। ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএদিকে, ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে পা দিয়ে রেখেছে মাহমুদুল্লাহর খুলনা। তিন নম্বর অবস্থানে থেকে মাঠে নেমেছিল তারা। ১০ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস খুলনার থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান ১৩ পয়েন্ট পেয়েছে।

ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের ওপেনার জিয়াউর রহমান ব্যক্তিগত ৮ রানে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার ক্রিস গেইল ২৭ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় করেন ৩৮ রান। তিন নম্বরে নামা ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ১১ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। রবি বোপারা ১১, চামারা কাপুগেদারা ২, নাহিদুল ইসলাম ৬ রান করেন।

উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ৩৫ বলে দুটি চার আর চারটি ছক্কায় ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। দলপতি মাশরাফি ১১ বলে দুটি চারে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

খুলনার জোফরা আরচার দুটি, আবু জায়েদ একটি, শফিউল ইসলাম একটি, মোহাম্মদ ইরফান একটি, কার্লোস ব্রাথওয়েইট একটি উইকেট দখল করেন। ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম১৪৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটি থেকেই ৬০ রান তুলে নেয় খুলনার দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মাইকেল ক্লিনগার। ১৮ বলে ২০ রান করে ফেরেন নাজমুল। আর ৪৫ বলে ৪৪ রান করে বিদায় নেন ক্লিনগার।

এরপরই খুলনার ব্যাটিংয়ে ধস নামে। আফিফ হোসেন ৮, মাহমুদুল্লাহ ৬, নিকোলাস পুরান ১, কার্লোস ব্রাথওয়েইট ৬ রান করে ফেরেন। জোফরা আরচার ১১ বলে দুটি ছক্কায় ১৯ রান করে ম্যাচ নিজেদের দিকেই নিয়েছিলেন। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রানআউট হন তিনি। আরিফুল হক ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ৬ রানে বিদায় নেন। শেষ ওভারে খুলনার দরকার হয় ২৪ রান। সেটা তোলা সম্ভব হয়নি শফিউল-মোহাম্মদ ইরফানদের।

ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমকোনো উইকেট না পেলেও রংপুরের দলপতি মাশরাফি ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে খুলনার ব্যাটসম্যানদের আটকে রেখেছিলেন। রবি বোপারা ২ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সোহাগ গাজী ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। উদানা, নাহিদুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম একটি করে উইকেট পান। ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএদিকে, রোববারের প্রথম বা বিপিএলের ৩৭তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই তলানির দল সিলেট সিক্সার্স ও চিটাগং ভাইকিংস। এই আসর থেকে বিদায় নেওয়া চিটাগং ভাইকিংসকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের প্লে-অফে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে নাসির-সাব্বিরের সিলেট।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেট অধিনায়ক নাসির হোসেন। ব্যাটিংয়ে নেমে নাসিরের ঘূর্ণি জাদুতে ১২ ওভারে মাত্র ৬৭ রানেই অলআউট হয় চিটাগং। যা যৌথভাবে বিপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। এর আগে ২০১৩ সালে চিটাগংয়ের বিপক্ষে খুলনা ৬৭ রান করেছিল। জবাবে, ১১.১ ওভার ব্যাট করে সিলেট কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।