ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মাশরাফির ‘অবসর’ নয়, সব মনোযোগ সিরিজ জয়ে

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২০
মাশরাফির ‘অবসর’ নয়, সব মনোযোগ সিরিজ জয়ে ছবি: সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শেষ হচ্ছে ‘অধিনায়ক মাশরাফি' অধ্যায়। সিরিজ শুরুর আগে থেকে এটাই ছিল দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু। তবে প্রথম ম্যাচটা রেকর্ড গড়ে জেতার পর সেই আলোচনা কিছুটা স্তিমিত হয়েছে। এবার দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের পালা টাইগারদের।

প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন লিটন দাস। এরপর বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন দীর্ঘদিন ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

ওপেনিংয়ে স্লো ব্যাটিংয়ের কারণে তামিম ইকবালের সমালোচনা হলেও লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ভালো শুরু এনে দেওয়ার কৃতিত্ব তাকে দিতেই হবে।

শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এরপর বড় সংগ্রহের দিকে টেনে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন। শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন সাইফউদ্দিন। তার সাবলীল ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি যে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন। পরে নতুন বল হাতেও দারুণ ঝলক দেখিয়েছেন তিনি।  

সাইফউদ্দিনের স্বরূপে ফিরে আসায় সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পাওয়ার কথা বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর। অনেকদিন থেকেই একজন পেস অলরাউন্ডারের জন্য হাহাকার করছেন তিনি। নিজের মুখেই তিনি সাইফউদ্দিনকে মিস করার কথাও বলেছেন।

ওদিকে বোলারদের মধ্যে সাইফউদ্দিন ছাড়াও আলো ছড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ। শুরুতে কিছুটা সমস্যা হলেও শেষদিকে ছন্দে ফিরেছেন অধিনায়ক মাশরাফিও।  

প্রথম ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিয়ে পঞ্চম অধিনায়ক হিসেবে ১০০তম উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। এই কীর্তি আছে শুধু ওয়াসিম আকরাম, শন পোলক, ইমরান খান এবং জেসন হোল্ডারের। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারের ৭০০তম উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করছেন ম্যাশ।

বাংলাদেশ দলের জন্য কিছুটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছিল লিটন দাসের চোট। এছাড়া সাইফউদ্দিন লম্বা সময় পিঠের ইনজুরির কারণে বাইরে থাকায় তাকে নিয়েও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। তবে দুজনেই কাল খেলছেন এতে কোনো সন্দেহ আপাতত নেই। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে তাই বাংলাদেশই স্পষ্ট ফেবারিট।

অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের শিবিরে রাজ্যের দুশ্চিন্তা ভর করেছে। দলটির প্রস্তুতি মোটেও টাইগারদের মতো নয়। কারণ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ক্রেইগ আরভিনের ছিটকে যাওয়া আর হারারে থেকে ঠিক সময়ে শন উইলিয়ামসের না পৌঁছানো দলটির বড় ক্ষতি করেছে। এই ক্ষতি প্রথম ম্যাচে আর পুষিয়ে নিতে পারেনি সফরকারীরা। ফলে বাজে বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও ধস নেমেছিল।

অনূর্ধ্ব-১০ বিশ্বকাপে নজর কেড়ে জাতীয় দলে অভিষিক্ত হওয়া ওয়েসলি মাধেভেরে প্রথম ম্যাচে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বাকি আর কোনো জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানকে সেভাবে লড়াই করতেই দেখা যায়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে সিনিয়ররা বিশেষ করে উইলিয়ামস, আরভিন, সিকান্দার রাজা ও ব্রেন্ডন টেইলরকে এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু অধিনায়ক চামু চিবাবাকে অবশ্যই দলের বোলিং ইউনিটকে আত্মবিশ্বাস জুটাতে হবে।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ের সম্ভাব্য একাদশ: চামু চিবাবা (অধিনায়ক), টিনাশে কামুনহুকামউই, ব্রেন্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলি মাধেভেরে, রেগিস চাকাভা, রিচমন্ড মুতুমবামি, টিনোটেন্ডা মাতুমবোজি, ডোনাল্ড তিরিপানো, ক্রিস এমপোফু, কার্ল মুম্বা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।