ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মরা-বাঁচার লড়াইয়ে কলকাতাকে মরণ কামড় দিল চেন্নাই

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
মরা-বাঁচার লড়াইয়ে কলকাতাকে মরণ কামড় দিল চেন্নাই ছবি: সংগৃহীত

জিতলে প্লে-অফের সম্ভাবনা বাড়তো। প্রতিপক্ষও আইপিএলের চলতি আসরে সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করা চেন্নাই সুপার কিংস।

কিন্তু টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে হেরে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই হারে শেষ চারের আশাও প্রায় শেষ মরগানবাহিনীর।

বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তুলেছিল কলকাতা। জবাবে ঋতুরাজ গায়কোয়াডের দুর্দান্ত ইনিংসের পর শেষ বলে এসে জয়ের দেখা পায় চেন্নাই।  

যদিও এই জয় তেমন কোনো কাজে আসেনি ধোনিবাহিনীর। কারণ আরও আগেই শেষ চারের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে দলটির জন্য পয়েন্ট টেবিলের সবচেয়ে নিচে থেকে আসর শেষ করার লজ্জা থেকে বাঁচার একটা সুযোগ এতে তৈরি হলো।  

অন্যদিকে ১৩ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে থাকা কলকাতা এখন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হারের প্রতীক্ষায় থাকবে। কারণ চারে থাকা পাঞ্জাবের পয়েন্টও সমান। তবে এখনও গেইলদের হাতে এক ম্যাচ বাকি আছে। বাকি তিন দলের ম্যাচের ফলাফলও নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে। তবে প্রথম দল হিসেবে এরইমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করে বসে আচে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।

এবারের আইপিএলে এই প্রথম টানা দ্বিতীয় জয়ের মুখ দেখা চেন্নাই অবশ্য লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ১৪ রান করে ওপেনার ওয়াটসন বিদায় নেন। এরপর আম্বাতি রায়ডু ও গায়কোয়াড় মিলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ৩৮ রান করা রায়ডুকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কামিন্স।  

চেন্নাই বড় ধাক্কা খায় যখন মাত্র ১ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন ধোনি। তবে অন্যপ্রান্ত ধরে রাখেন গায়কোয়াড়। কার্যত তিনি একাই টেনে নেন দলের রানের চাকা। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৭২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে থামেন তিনি। মূলত তার বিদায়ের পরই খেলায় ফেরে কলকাতা।

শেষ চার ওভারে ৪৫ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। ব্যাট হাতে রান তুলতে হিমশিম খাচ্ছিলেন চেন্নাইয়ের স্যাম কারেন। ফলে শেষ ২ ওভারে চেন্নাইয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ রানের। আর ঠিক ওই সময় ব্যাট হাতে ক্যামিও উপহার দেন রবীন্দ্র জাদেজা। মাত্র ১১ বলে ৩১ রান করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। শেষ দুই বলে ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি। দলের জয়ও নিশ্চিত হয় এই ইনিংসে ভর করে।

এর আগে দুই ওপেনার গিল ও রানা মিলে দারুণ শুরু এনে দেন কলকাতাকে। তবে গিল ২৫ রানে ফেরার পর দ্রুত আরও ২ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। তবে নিতিশ রানা ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছুটাতে থাকেন। ৬১ বলে ৮৭ রান করেন তিনি, যা ১০টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো। শেষদিকে ফর্মের সঙ্গে লড়তে থাকা দীনেশ কার্তিকের ২১ রানের সৌজন্যে লড়াকু সংগ্রহ পায় কলকাতা।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।