দীর্ঘ ২৪ বছর পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া দল। করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে ৩ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে দুই দল।
দীর্ঘ দিন ক্রিকেট থেকে ব্রাত্য থাকা পাকিস্তানে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া মানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনে পাকিস্তানের আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া।
গতকাল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী নিক হকলি ক্রিকেটারদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেছিলেন,'এ সফরের পরিকল্পনায় সহযোগিতা করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, খেলোয়াড়, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের ধন্যবাদ দিতে চাই। '
এদিকে অস্ট্রলিয়ার রঙ্গিন পোশাকের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের তো এই সফর করতে আর অপেক্ষা করতে পারছেন না। 'স্পোর্টসস্টার'কে দেওয়া সাক্ষাতকারে ফিঞ্চ বলেছেন, 'একজন ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তান সফরে যেতে আমার তর সইছে না। এটা বিশ্বের একটি অংশ, যেখানে লম্বা সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল। যদিও পাকিস্তান খুব সমৃদ্ধ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ। ক্রিকেট খেলাটা যাতে বিশ্বের সকল প্রান্তে ছড়িয়ে যায়, এজন্য আমাদের সবকিছু করা উচিত। '
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার জেরে দীর্ঘ ৬ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দল। ফলে বাধ্য হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিজেদের হোম ভেন্যু বানিয়েছিল পিসিবি।
তবে ২০১৫ সাল থেকে পাকিস্তানের মাটিতে ফিরতে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এরপর দীর্ঘ ১২ বছর পর ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজ আয়োজন করে পাকিস্তান। ২০১৯ সালের ওই সিরিজ খেলতে যায় শ্রীলঙ্কা। তাছাড়া এরইমধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলোও সেখানে সিরিজ খেলে এসেছে। কিন্তু মাস পাঁচেক আগে নিউজিল্যান্ড দল সফরে গিয়েও ম্যাচ শুরুর আগে ফিরে যায়।
গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডও পাকিস্তান সফর বাতিলের ঘোষণা দেয়। এ কারণে অজিদের সফর ঘিরেও ছিল অনিশ্চয়তা। এবার সেটাও কেটে গেল। ইংল্যান্ডও আগামী সেপ্টেম্বরে ৭ টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান সফরে যাবে। এরপর পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজও খেলতে ফের পাকিস্তানে যাবে ইংলিশরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
এমএমএস