২০১৪ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার মুখোমুখি হয়ে ৩২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই থেকে আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় আসে কালেভদ্রে দুয়েকবার, হারের সংখ্যাই বেশি।
বিশেষ করে তিন আফগান স্পিনার রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমান ও মোহাম্মদ নবিকে সামলাতে যে হিমশিম খেতে হয় টাইগারদের, সে কথা তো কারও অজানা নয়। তবে টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল কিন্তু মনে করেন, তিন আফগান স্পিনারকে যতটা ভীতিকর হিসেবে তুলে ধরা হয়, তারা আসলে ততটা নন। তাই তাদের ভালোভাবে সামলানোর বার্তাই দিলেন তামিম। সেই সঙ্গে জানালেন, রশিদ-মুজিব-নবিদের নিয়ে ভেবে ঘুম হারাম করার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।
আগামীকাল বুধবার থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আফগান স্পিনত্রয়ী নিয়ে তামিম বলেন, ' ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো বোলারকে নিয়ে বেশি কথাবার্তা বলতে চাই না। যেটি বললাম, ওদের বোলিং অনেক ভালো। সম্ভবত সেরা স্পিন আক্রমণ ওদেরই। কিন্তু ওদের বিপক্ষেই আমরা অতীতে অনেক ভালো করেছি। বিশেষ করে ওয়ানডে সংস্করণেই। তাহলে আবার কেন পারব না? আমি মনে করি, প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে আমাদের বরং নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা উচিত। ’
দেশসেরা ওপেনার আরও বলেন, 'আমরা তিন বোলার নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু তাদের ৫০ ওভার বল করতে হবে। ওদের অন্য বোলাররাও ভালো, ফলে শুধু তিন স্পিনারকে নিয়ে ভেবে লাভ নেই। আমরা যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেল্লেই কোয়ালিটি বোলারদের মোকাবিলা করতে হয়। সত্যি বলতে (তিন স্পিনারকে মোকাবিলা করতে) কোনো চাপ নেই। তারা ভালো স্পিনার, কিন্তু তার মানে এই না যে, আমরা শুধু তাদের ওপর ফোকাস করব। '
তামিমের মতে, ওয়ানডে ফরম্যাটের ছন্দে ফেরাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ প্রায় সাত মাস পর ৫০ ওভারের ফরম্যাটে খেলতে নামতে যাচ্ছে টাইগাররা। তিনি বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে খেলতে যাচ্ছু, কিন্তু সবাই বেশ উত্তেজিত কারণ এটা আমাদের সবচেয়ে প্রিয় ফরম্যাটগুলোর একটি। সেখানে আমাদের ভালো করতে হবে, কারণ এই বছর আমাদের বেশিকছু ওয়ানডে খেলতে হবে। আমরা ওয়ানডেতে তাদের (আফগানদের) বিপক্ষে ভালো খেলেছি। দলের সবাই খেলার মধ্যেই আছে এবং তাদের মানসিক স্থিতি বেশ ভালো। '
তামিম আরও জানিয়েছেন, সাকিব আল হাসান ব্যাটিং লাইনআপের তিনে নামবেন। তবে মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলীর মধ্যে কে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করবেন তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। কিন্তু জয়কে দলে নেওয়ায় কিছুটা সমালোচনাও হচ্ছে। কারণ তাকে মূলত টেস্ট ওপেনার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু তামিমের মত আবার ভিন্ন। তিনি বলেন, 'গত ৬ ওয়ানডেতে আমাদের ছয় নম্বর পজিশন মোটামুটি স্থির। কিন্তু পাঁচ নম্বর পজিশন এখনও নিশ্চিত নয়। তবে আমি বলতে পারি, জয় বা ইয়াসিরের মধ্যে যে খেলবে সে পাঁচে ব্যাট করবে। '
আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সংস্করণে জয়ের পাল্লা বাংলাদেশেরই ভারী। এ পর্যন্ত হওয়া আট ওয়ানডেতে তামিমরা এগিয়ে ৫-৩-এ। লেগস্পিনার রশীদ খানও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে খুব সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ছয় ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। এই দুই দলের সর্বশেষ দেখা ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে। যে ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন রশীদ। রহস্য স্পিনার মুজিবও বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ৬ উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
এমএইচএম