চট্টগ্রাম: গল্পের শুরুটা ব্যর্থতা দিয়ে। দলের সবাই যখন আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত, তখন আশার আলো হয়ে জ্বলছিলেন আফিফ-মিরাজ জুটি।
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা কবে ঘুচবে বাংলাদেশের। স্কোর বোর্ডে মাত্র ৪৫ তুলতে নেই ৬ জন, এক ফারুকী পরীক্ষায় ফেল দেশের ৪ জন। এমন অবস্থায় শতক পেরুনো যেন শঙ্কা ছিল দলের।
যে মাঠে তামিম-সাকিব ব্যর্থ সে মাঠে মিরাজ-আফিফ করে দেখিয়েছেন কিভাবে ব্যটিং করতে হয়। দুই জনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৭৪ রানে অপরাজিত থেকে রেকর্ড গড়েন।
বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলার মূলমন্ত্র কি ছিল সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয় আফিফ হোসেনের কাছে। তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না জানিয়ে আফিফ বলেন, ‘৬ টা উইকেট পড়ার পর আমাদের শুধু একটা লক্ষ্য ছিল উইকেট না দিয়ে যতক্ষণ কাটানো যায়। প্রথম থেকে আমাদের লক্ষ্য একটাই ছিল যে উইকেট দেবো না, রান যা আসে। শেষের দিকে তো খেলা বল টু বল ছিল। ’
মাঠে বোলাদের নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওদের যে ৩ জন স্পিনার ছিল তাদের বিপক্ষে পরিকল্পনা ছিল নরমাল খেলা। এদের ওভার শেষ হলে ৫ ওভার বাকি থাকতো। ওই ৫ ওভারে যদি ৩০-৪০ বা ৫০ রানও লাগে আমরা চেষ্টা করবো। আমরা যেন শেষ করতে পারি। ’
ইনিংসের ৩৫ তম ওভারের শেষ বলে ইয়ামিনকে স্কয়ার লেগে পুল করে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করেন মিরাজ। ৮১ রানে থাকেন অপরাজিত। মিরাজের সঙ্গে কি কথা হয় আফিফের? জানাতে চাওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
আফিফ বলেন, ‘মিরাজ ভাই অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। যখন অনেকগুলো ডট হয়ে গেছে তখন বাউন্ডারি এসেছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে দুজনের কথা অনেক ভালো হচ্ছিল। দুজনেই বুঝতে পারছিলাম যে উইকেট না দিলে সম্ভব ম্যাচটা জেতা যাবে। ড্রেসিং রুম থেকে একটা বার্তাই ছিল যে আমরা যেভাবে যাচ্ছিলাম সেভাবেই যেন যাই। উইকেট না দিয়ে, উইকেট যেনো হাতে রাখি। আমরা দুজন যদি উইকেটে থাকি ম্যাচটা জেতা সম্ভব। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
এমআর/টিসি/এমএমএস