দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের ঠিক আগে পেয়েছিলেন দায়িত্ব। খুব বেশিদিন হয়নি শিষ্যদের দেখছেন অ্যানাল্ড ডোনাল্ড।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৫মে শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট। এর আগে তিনদিন মাঠটিতে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। এই সময়ের সেশনগুলোতে শিষ্যদের কী টোটকা দিয়েছেন, সেটা জানিয়েছেন অ্যালান ডোনাল্ড।
চট্টগ্রামে তিনি বলেছেন, ‘আমার জন্য সবচেয়ে বড় চমক ছিল এবাদত ও খালেদ। আমি তাদের চালিকা শক্তি দেখে চমকে গেছি। টেস্ট ক্রিকেট অনেক সংকল্প ও সাহসের খেলা। আমি কখনও দুজন পেসার আর দুজন স্পিনার নিয়ে খেলতে দেখিনি কিন্তু যেভাবে তারা নিজেদেরকে পরিচালিত করেছে, বিশেষত ডারবানে তারা ছিল চমৎকার। ’
দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। তবে বোলাররা বেশ কৃতিত্বই দেখিয়েছেন। দুই ম্যাচেই অলআউট করেছেন প্রোটিয়া ব্যাটারদের। এটাকে কৃতিত্ব হিসেবেই দেখছেন ডোনাল্ড।
তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টেই তাদের অলআউট করতে পারাটা দুর্দান্ত ব্যাপার। আমি যেটা দেখেছি তাতে মুগ্ধ। আমার মনে হয় প্রতিটা ট্রেনিং সেশনের পর যে আলোচনা আমাদের মধ্যে হচ্ছে, আর যেটা আমরা শিখছি, এটা যথেষ্ট। ’
দেশের মাটিতে ম্যাচ নিয়ে শিষ্যদের জন্য ডোনাল্ডের পরামর্শ, ‘আমার মনে হয় এখানে যে ধরনের পিচ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা বলে স্ট্রেইট লাইনে বল করতে হবে। আপনার নতুন বলটা গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক ট্রেনিং সেশনে নতুন বল কত গুরুত্বপূর্ণ, সঠিক জায়গা কোনটা আর কীভাবে বেশিক্ষণ ধরে রাখা যায় এসব নিয়ে কাজ করেছি। ইনসুইং, আউট সুইংয়ের গৌরবের দিকে না তাকিয়ে প্রক্রিয়াটা দেখতে হবে আমাদের। ’
‘ছেলেরা এসব শিখতে চায়, এটা ভালো ব্যাপার। আমার কোচিং ধরণ হল মাইন্ডসেট, মেন্টাল, অ্যাটিটিউড ও ক্রিয়েটিভিট। প্রতিটি অনুশীলন সেশনেই চাপ সামলানোর ব্যাপারে শেখানো হয়। তাসকিন সোনায় মোড়ানো হৃদয়ের অধিকারী, তার হৃদয় অনেক বড়৷ আবার তাকে বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিতে দেখলে অনেক ক্ষুধার্ত মনে হবে। আমি যা দেখেছি তাতে দারুণ রোমাঞ্চিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
এমএইচবি