চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এক রানের আক্ষেপে পুড়তে হলো অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র এক রানের দূরত্বে নাঈম হাসানের শিকার হয়েছেন এই লঙ্কান অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯৯ রান করে আউট হওয়া দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান ম্যাথুস। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে এই অনাকাঙ্খিত মাইলফলক ছিলো ডিন এলগারের। ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুমে এলগার ডাবল সেঞ্চুরি থেকে এক রানের দূরত্বে আউট হয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে।
সব মিলিয়ে ১৯৯ রানে আউট হওয়া ১২তম ব্যাটসম্যান ম্যাথুস। টেস্টে প্রথম ১৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন পাকিস্তানের মুদাসসর নজর। ১৯৮৪ সালে ফয়সালাবাদে ভারতের বিপক্ষে ১৯৯ রানে দাঁড়িয়ে শিবলাল যাদবের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ১৯৮৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন ভারতের মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন। ১৯৯৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন আনাকাঙ্খিত কীর্তি গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু এলিয়ট।
১৯৯ রানের আক্ষেপে পুরেছেন কুমার সাঙ্গাকারা ও অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও। এ দুজনই অপরাজিত ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে দাঁড়িয়ে। ২০০১ সালে হারারেতে ফলোঅনে পড়ে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ফ্লাওয়ার। তবে শেষ ব্যাটসম্যান ডগলাস হন্ডো আউট হয়ে গিয়েছিলেন ফ্লাওয়ারকে হতাশায় ফেলে। ১১ বছর পর এমন ‘দুর্ভাগ্যে’র শিকার হন সাঙ্গাকারা, গলে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেবার শেষ ব্যাটসম্যান ছিলেন নুয়ান প্রদীপ।
১৯৯ রানের এ তালিকায় অবশ্য এক দিক দিয়ে সব থেকে আলাদা ইউনিস খান। এখন পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৯৯ রানে দাঁড়িয়ে রানআউট হয়েছিলেন সাবেক পাকিস্তান ব্যাটসম্যান। ২০০৬ সালে লাহোরে ভারতের বিপক্ষে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিলেন পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের। আরেক সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছিল ইউনিসের। এছাড়া ২০০৮ সালে ইয়ান বেল, ২০১৫ সালে স্টিভ স্মিথ, ২০১৬ সালে লোকেশ রাহুল, ২০২২ সালে ফাফ ডু প্লেসিস ১৯৯ রানের ফাঁদে পড়েছিলেন।
১৯৯ রানে আউট হওয়ার তালিকাটা বড় হলেও ২৯৯ রানের ক্ষেত্রে তালিকাটা অবশ্য বেশ ছোটই। এ রানে দাঁড়িয়ে আউট হওয়া একমাত্র ব্যাটসম্যান নিউজিল্যান্ডের মার্টিন ক্রো। ১৯৯১ সালে ওয়েলিংটনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই আউট হন তিনি। ২৯৯ রানে অপরাজিত থাকা একমাত্র ব্যাটসম্যানের নাম ডন ব্র্যাডম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ১৬ মে ২০২২
এআর