প্রথম দিন যেখানে থেকে শেষ করেছিলেন ঠিক সেখান থেকেই যেন শুরু নাঈম হাসানের। চট্টগ্রাম টেস্টর প্রথমদিন দুই উইকেট নেওয়ার পর পরের দিন নিলেন আরও ৪টি।
ভালো করার পরও স্থায়ী হতে না পারা নাঈমের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন, এবার কি স্থায়ী হতে পারবেন তিনি। প্রতিত্তোরে নাঈমের জবাব, দলে থাকা না থাকা টিম ম্যানেজম্যান্টের বিষয়। আমার দায়িত্ব শুধু দলে সুযোগ পেলে শতভাগ দিয়ে খেলা।
নাঈম বলেন, মিরাজ ভাই যখন ইনজুরিতে পড়লেন খবরটি শুনেআমার খুব খারাপ লেগেছিল। উনার পরিবর্তে আমি যখন খেলছি তখন চেষ্টা ছিল শতভাগ এফোর্ড দেওয়া। দিন শেষে ফলাফল যাই আসুক। যাতে আমি বলতে পারি আমি শতভাগ চেষ্টা করেছি।
দলের তিন স্পিনারের অবদানে রানের লাগাম টানা গেলেও মাত্র একটি উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। দলে তিন স্পিনারের মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল কিনা জানতে চাইলে নাঈম জানান, সবাই ভালো বোলিং করেছে। তবে আমার চেয়ে অন্য দুইজন কম রান দিয়েছেন। গতকাল আমি রান আটকাতে পারি নি। আজ সকালে সকলের সঙ্গে কথা বলেছি বিষয়টি নিয়ে। সে অনুযায়ী মাঠে বোলিং করেছি।
করোনা হওয়ার পর সাকিব দলে থাকা না থাকার বিষয়ে নাটক কম হয়নি। শেষ পর্যন্ত সাকিবের দলে অন্তর্ভূক্তি বোলিং বিভাগে কতটুকু প্রভাব ফেলেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নাঈম বলেন, সাকিব ভাই আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ছোট ছোট বিষয়গুলোতে আমাদের পরামর্শ দেন। তিনি এভাবে সাহায্য করার কারণে আমাদের অনেক উপকার হয়।
ম্যাথিউসের উইকেট নিয়ে নাঈমের কাছে প্রশ্ন কতটুকু আন্দদায়ক ছিল উইকেটটি? জবাবে নাঈম জানান, যখন মাত্র ১ রান দরকার ছিল সব প্লেয়ারকে উপরে নিয়ে আসা হয়। তখন সে খুব চেষ্টা করছিল ঝুঁকি নিয়ে শট খেলার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এমআর/টিসি/এআর