সিলেট থেকে : নারী এশিয়া কাপের প্রতি ম্যাচের পরই দেখা মেলে মিলনমেলার। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলগুলোর ক্রিকেটাররা অটোগ্রাফ নেন ভারত-পাকিস্তানের মতো দলগুলোর বিপক্ষে।
নিজেদের ইতিহাসের সেরা জয়গুলোর একটি পেয়েছে তারা। পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে। হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বিষণ্ন মুখে এসেছিলেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি সিধরা আমিন। নারওমেল চাওয়ী জানিয়েছেন, তারা সবসময় মাঠে খেলতে চান মজা করে।
সংবাদ সম্মেলনে থাই অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমরা খুশি। খুব খুব খুশি। কারণ পাকিস্তান সেরা দলগুলোর একটি। আমার মনে হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আনন্দের সঙ্গে খেলতে পারা, আমরা মাঠে মজা করতে চাই। এরপর সবকিছু এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে। ’
পাকিস্তান ম্যাচের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা একই রকম পরিকল্পনা নিয়ে গিয়েছিলাম। শেষ দুই ম্যাচেও আমাদের একই রকম পরিকল্পনা ছিল কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। দুই ম্যাচ হারার পর নিজেদের মধ্যে হেরেছি এবং নিজেদের পরিকল্পনায় মন দিতে পেরেছি। আজকে বোলার ও ব্যাটাররা ভালো করেছে। ’
‘আমার মনে হয় বোলাররা সঠিক লাইন ও লেন্থে বল করেছে। আমরা কিছু ফিল্ডারও ঠিক জায়গায় দাঁড় করিয়েছিলাম। তারাও বড় কোনো শট খেলতে পারেনি। ’
অনেক দিন ধরে থাইল্যান্ডের ইতিবাচক ক্রিকেটের কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু মাঠে তারা দেখাতে পারছিল না সেটা। এখন পেরে কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির কোচ হার্শাল পাঠক বলেছেন, ‘আসলে আমরা জয়ে অনেক খুশি। কারণ এটা শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এসেছে। ও যেমন বলল পরিকল্পনা সবসময় ছিল। কখনো কখনো দলের মানিয়ে নিতে সময় লাগে। ’
‘আমরা এই পরিস্থিতির জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। আমার মনে হয় একই পরিকল্পনায় থাকা আর সেটাকে বাস্তব করার চেষ্টা করবো। এখন আমরা দুই-তিনবার পারছি দশবারের মধ্যে, ভবিষ্যতে সেটা ৭-৮টা হবে বলে আশা করি। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৪৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২২
এমএইচব/এআর