ভালো শুরু এনে দিতে পারলেন না দুই ওপেনার। আফিফ হোসেন ও লিটন দাসও খুব দ্রুত রান তুলতে পারলেন না।
শেষ ওভারে দারুণ ব্যাটিং করলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। বরং, তার ব্যাটিং দেখে আফসোসই বাড়লো শুধু। এ ধরনের ব্যাটিং যদি আর ২-৩টা ওভারে করতে পারতো, তাহলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে যেতো। রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩৭ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ (১০) ও সাব্বির রহমানকে (১৪) হারায় বাংলাদেশ।
এরপর ৫০ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। লিটন খেলেছেন ২৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। লিটনের বিদায়ের পর ‘গোল্ডেন ডাক’ মারেন মোসাদ্দেক হোসেন। দলীয় রান ১০০ হওয়ার আগে সাজঘরে ফিরেন আফিফ হোসেনও। ২৩ বলে ২৫ রান করেন তিনি।
সাকিব আল হাসানের অবর্তমানে অধিনায়কত্ব করা নুরুল হাসান সোহানও সুবিধা করতে পারেননি, ফিরেছেন ৮ রান করেই। শেষ দিকে ইয়াসির আলী রাব্বির ২১ বলে অপরাজিত ৪২ রানের কল্যাণে ১৪৬ রান পর্যন্ত যেতে পারে বাংলাদেশ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় পাকিস্তান। ২৫ বলে ২২ রান করে মিরাজের বলে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন অধিনায়ক বাবর আজম। এরপর শান মাসুদের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি হয় মোহাম্মদ রিজওয়ানের।
৪ চার ও ১ ছক্কায় ২২ বলে ৩১ রান করে নাসুম আহমেদের শিকার হন তিনি। ৬ বলে ৬ রান করা হায়দার আলির ক্যাচ দারুণভাবে ধরেন বাউন্ডারির কাছে দাঁড়ানো ইয়াসির আলি রাব্বি।
একপ্রান্তে উইকেট গেলেও অন্য প্রান্তে হাল ধরেন রিজওয়ান। শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ৫০ বলে ৭৮ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তাসকিন। ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন মোস্তাফিজ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২২
এআর