‘সুলতান: আ মেমোয়ার’। কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামের অটোবায়োগ্রাফি এটি।
বইয়ে আকরাম লেখেন, ‘আমি জুনিয়র হওয়ায় মালিক আমার ফায়দা নিত। তিনি নেতিবাচক ও স্বার্থপর ধরণের মানুষ। আমার সঙ্গে চাকরের মতো আচরণ করতেন। তার চাহিদা অনুযায়ী, আমি তার শরীরে ম্যাসাজ করে দিতাম। আমাকে দিয়ে কাপড় ও জুতো পরিষ্কার করার কাজও করিয়েছেন তিনি। ’
আকরাম আরো লেখেন, ‘রমিজ, তাহির, মহসিন, শোয়েবের মতো দলের তরুণ খেলোয়াড়রা আমাকে নাইট ক্লাবে যাওয়ার আমন্ত্রণ করলে রাগ উঠত আমার। ’
১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সেলিম মালিকের অধিনায়কত্বে খেলেছেন আকরাম। গুঞ্জন ছিল, তাদের মধ্যে মতের অমিল ছিল বেশ। আকরামের বায়োগ্রাফির পর তা নিয়ে আর দ্বিধা থাকার কথা নয়!
যদিও এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মালিক। আকরামকে বেশ কয়েকবার ফোন করেও পাননি বিতর্কিত এই ক্রিকেটার। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু সে ধরেনি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করব কী কারণে সে এগুলো লিখল। আমি যদি ছোটো মনের মানুষ হতাম, তাহলে আমি তাকে বোলিং করার সুযোগই দিতাম না। আমি জিজ্ঞেস করব কেন আমাকে নিয়ে সে এরকম মন্তব্য করল। ’
১৯৮২ সালে পাকিস্তানের হয়ে খেলা শুরু করেন মালিক। পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটার হলেও তার গায়ে লেপ্টে আছে ফিক্সিংয়ের কালিমা। মালিকের আগমণের দুই বছর পরই জাতীয় দলে অভিষেক হয় আকরামের।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
এএইচএস