চট্টগ্রাম: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের সদস্য, চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠক ও রাউজান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এ কে ফজলুল হক চেয়ারম্যানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি)।
১১ নম্বর পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনী প্রধান, রাউজানে সমবায় আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৮৭ সালের এদিনে নিজ গ্রামে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান ১৯৩২ সালের ১৭ জুলাই রাউজানে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিজ থানায় শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা পালনকারী, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের ঋণ সালিশি বোর্ডের সদস্য, চট্টগ্রাম আদালতের জুরার এবং রাউজান শিক্ষক সমিতির আমৃত্যু সভাপতি, উত্তর চট্টগ্রামের ‘শিক্ষকরবি’খ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক ও মুসলিম মনীষা হযরত ওছমান আলী মাস্টার (রহ.) প্রকাশ ‘বড় মাস্টার’ এর প্রথম পুত্র।
তিনি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ আন্দোলন, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৮ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁদের বাড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম প্রধান ‘শেল্টার হাউস’ ছিলো। আমৃত্যু অসাম্প্রদায়িক ফজলুল হক দীর্ঘদিন সুনামের সাথে ১১ নম্বর পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে এবং গহিরা শান্তির দ্বীপ কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিরও দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালন করেন।
মরহুমের মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে পরিবার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক গণপাঠাগার, আমরা করবো জয় এর উদ্যোগে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকাল ১১টায় মরহুমের গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্থানীয় মসজিদে খতমে কোরআন, দোয়া এবং মোনাজাত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৩
এসি/টিসি