ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কামাল উদ্দীন আহমদ আর নেই 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
কামাল উদ্দীন আহমদ আর নেই 

চট্টগ্রাম: সাবেক ডিভিশনাল স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কামাল উদ্দীন আহমদ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।  

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় নগরের আসকারদীঘির পাড়ের নিউ লাইফ হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি মাঠে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী গাড়ি আক্রমণের ঘটনার মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন।

তিনি স্ত্রী, পাঁচ কন্যা, জামাতা, চার ভাইসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শনিবার সকাল নয়টায় মরহুমের মরদেহ তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে রাখা হবে। সকাল ১০টায় হজরত মিসকিন শাহ (র.) মাজার সংলগ্ন মাঠে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার নিজগ্রাম ফটিকছড়ি ধর্মপুর গ্রামের আজাদীবাজারের মুন্দার বাড়িতে। বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।  

অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দীন আহম্মদ ১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ধর্মপুর গ্রামের মুন্দারবাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বজল আহম্মদ এবং মা মোস্তফা খাতুন। স্কুলজীবনেই ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সময় থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের হামুদর রহমান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে অগ্রজদের সঙ্গে আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। আর এজন্য তাঁকে কারাবরণ করতে হয়েছিল।

১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ছয় দফা এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ফটিকছড়ির ধর্মপুর গ্রাম এলাকায় একজন সক্রিয় সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন সাহসের সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধের পর ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় শালিসি আদালতের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারীর গাড়ি আক্রমণের ঘটনার মামলার অন্যতম সাক্ষী তিনি।

১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে তিনি আইন পাস করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি আইন পেশা শুরু করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর জনাব কামাল কল্যাবরেটর মামলার স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ও 

অ্যাসিসট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ডিভিশনাল স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মৃত্যুর আগপর্যন্ত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কামাল উদ্দীন আহমদ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।