চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এক প্রার্থী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না পাওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্যের কার্যালয় ভাংচুর করেছে দলটির অনুসারীরা। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে চবি উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাংচুর করে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ একাকারের অনুসারীরা।
জানা গেছে, রাইয়ান আহমেদ নামে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য শিক্ষক নিয়োগ প্রার্থী ছিলেন। তবে তিনি মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় বাদ পড়েছেন। নিয়োগ বোর্ডে সুপারিশপ্রাপ্তদের বিষয়টি গোপন থাকায় সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিলেন ছাত্রলীগের অনুসারীরা। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪১তম সিন্ডিকেট সভায় রাজনীতি বিজ্ঞান, ইসলামিক স্টাডিজ, মেরিন সায়েন্সেস এবং ফিশারিজসহ বিভিন্ন বিভাগের সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নিয়োগ অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে উপাচার্যের কার্যালয়ের বাইরে ভাংচুর করা হয়।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, খুব শিগগির একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
সিসিটিভি ফুটেজসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তদন্ত কমিটি যাচাই-বাছাই করবে। এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা গেছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমরা বিষয়গুলো এখন বলতে চাই না।
এ ছাড়া নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কক্ষ ভাংচুর ও শাটল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাদের সতর্ক করেছি৷ তারা যদি এরপরও এ ধরনের কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
এমএ/টিসি