ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবিতে চাঁদপুরের নবীন শিক্ষার্থী বরণ ও প্রবীণদের সংবর্ধনা 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
চবিতে চাঁদপুরের নবীন শিক্ষার্থী বরণ ও প্রবীণদের সংবর্ধনা  ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: নবীনবরণ ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) চাঁদপুর জেলা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। ২০২১-২২ সেশনে চবিতে ভর্তি হওয়া চাঁদপুর জেলা থেকে আগত ৯৩ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শনিবার (০৪ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চবির আইন অনুষদ একে খান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।  

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মুরাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো. মাহফুজ আলম অনিক।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংগঠনটির পৃষ্ঠপোষক আনম শামীম হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারক। অতিথি ছিলেন সংগঠনটির পৃষ্ঠপোষক কাজী আবদুস সোবহান, লায়ন মো. মুনীর হোসেন ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ইকরাম আনসার তুহিন। এছাড়া সংগঠনটির সাবেক নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, যারা পড়াশোনা শেষ করেছেন, তাদের প্রতি পরামর্শ থাকবে- আপনারা কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন, এর মানে পড়াশোনা শেষ নয়। পড়াশোনা এখন শুরু হবে।  

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। একটি সোনার দেশ গঠনের জন্য আমাদের কাজ করতে। পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের মূল্যবোধকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।  

আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারক বলেন, চাঁদপুর জেলা স্টুডেন্টস' অ্যাসোসিয়েশন গত ১০ বছরে প্রায় ১২শ শিক্ষার্থীকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। এটা খুব ভালো লাগার বিষয়। এ সংগঠনগুলোই নবীন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যায় পাশে থাকে। বিশেষ করে ভর্তিপরীক্ষার সময় আঞ্চলিক এ সংগঠনগুলো পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে। তাই এ ধরনের সংগঠন থাকা খুব প্রয়োজন। তবে নবীনদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, শেষ পর্যন্ত সুন্দরমতো পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন। এখানে জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে আপনারা দেশ ও জাতির জন্য অবদান রাখবেন।  

অনলাইনে যুক্ত হয়ে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও সংগঠনটির পৃষ্ঠপোষক মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, আমি সবসময় নিজেকে এ সংগঠনের একজন সদস্য মনে করি। যদিও দুর্ভাগ্যবশত আমি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। যারা এর সঙ্গে জড়িত আছেন এবং যারা পড়াশোনা শেষ করেছেন সবার জন্য আমার শুভকামনা থাকবে। আপনাদের যেকোনও প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনটির পৃষ্ঠপোষক আ ন ম শামীম হাসান বলেন, এ সংগঠনের সবাই আমার সন্তানের মতো। আমি যেখানেই আপনাদের পরিচয় পাই, খুব আনন্দিত হই। আপনারা চাঁদপুরের সেরা সন্তান। এ সংগঠনের মাধ্যমে আপনারা আরও পরিপক্ব হয়ে উঠবেন বলে আমি আশা করি। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি আপনাদের পাশে আছি সবসময়।  

সংগঠনের সভাপতি মো. মাহফুজ আলম অনিক বলেন, চাঁদপুর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন এসেছি, তখন নিজেকে অনেক অসহায় মনে হয়েছিলো। কিন্তু এ সংগঠনের সিনিয়রদের সহযোগিতায় আমাদের সেই কঠিন সময়গুলো সহজ এবং সুন্দর হয়েছে। আমরা সেই প্রবীণদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের প্রতি সবসময় ভালোবাসা ও দোয়া থাকবে।  

‘পারস্পরিক সহযোগিতা ও  ভ্রাতৃত্ববোধ’ স্লোগানে ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চাঁদপুর জেলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে চাঁদপুর জেলা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। চাঁদপুরের শিক্ষার্থীদের দক্ষ, নৈতিক ও নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সংগঠনটি।

পাশাপাশি সংগঠনটি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা, সৃজনশীল প্রতিযোগিতা, নবীন শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা, বিভিন্ন দিবস উদযাপন, বার্ষিক ভ্রমণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ, বিদায়ী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, বার্ষিক ম্যাগাজিন এবং ক্যারিয়ার আড্ডাসহ বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।