ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমরা নির্বাচনে আছি, অরাজকতা রুখতে রাজপথেও আছি: নাছির

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
আমরা নির্বাচনে আছি, অরাজকতা রুখতে রাজপথেও আছি: নাছির ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলেও তারা মাঠে আছে অরাজকতার উদ্দেশ্যে। জ্বালাও পোড়াও করে মানুষ হত্যা এবং সম্পদ ধ্বংস করার অভিজ্ঞতা তাদের  রয়েছে।

তাই আমারা নির্বাচনে জয়লাভ করার পাশাপাশি অরাজকতা ও নাশকতার বিরুদ্ধেও মাঠে আছি। আমরা অবশ্যই শান্তির পক্ষে এবং জনস্বার্থ রক্ষায় মানুষের আস্থা অর্জনে বার বার নিজেদের সক্ষমতা জানান দিয়েছি।
আমাদের ক্ষমতায় থাকার অভিজ্ঞতা যেমন আছে তেমনি ক্ষমতাচ্যুত হয়ে রাজপথে দাঁড়াবার অভিজ্ঞতাও আছে।

সোমবার (১০ এপ্রিল দুপুরে) দুপুরে নগরের পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদের সমর্থনে গণসংযোগের সময় তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি আরও বলেন, নোমান আল মাহমুদ শতভাগ পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী রাজনীতিক। তিনি মানুষের সুখ-দুঃখে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তার বিজয়ের মধ্যদিয়ে আমরা কালুরঘাট সেতুর বাস্তবায়ন দেখতে চাই এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের অবকাঠামোগত উন্নয়নগুলোর সমাধান করতে চাই। এজন্য তিনিই আমাদের অন্যতম অবলম্বন।  

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার পথ খুঁজছে। যে দলটির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে সে দলের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। পৃথিবীতে গণতন্ত্র সভ্যতার একটি বিধান। তবে সময় ও পরিস্থিতি সাপেক্ষে কোথাও কোথাও গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বদল হয়। তারপরও গণতন্ত্রে মানুষের অধিকারের কথা স্বীকৃত আছে। চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে গণতন্ত্র চর্চার মঞ্চ হিসেবে উপস্থাপিত হবে। এই মঞ্চে নৌকা প্রতীক নিয়ে দাঁড়িয়েছেন নোমান আল মাহমুদ। আমরা অবশ্যই তার পক্ষে মাঠে নেমেছি এবং তাকে বিজয়ী করা আমাদের রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা।  

নোমান আল মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিদ্যমান সমস্যার কথা আমি জানি। এখানকার মানুষের চাওয়া-পাওয়া কি তাও আমি জানি। তাই আমি কথা দিতে পারি- এলাকাবাসী যা চাইবে তা আদায়ে আমি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো। আমার পূর্বসূরী যারা এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিল তাদের অসমাপ্ত কাজগুলো এই স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করার আমার নৈতিক দায়িত্ব।  
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সফর আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিক জোবাইরা নার্গিস খান, উপ প্রচার সম্পাদক শহীদুল আলম, নির্বাহী সদস্য হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শামশুল আলম, আশরাফুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর হোসাইন, মো. ইসা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়:  ২১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।