চট্টগ্রাম: এপ্রিল মাসে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ১২০ টাকা। সেই চিনি এখন কিনতে হচ্ছে ১৩৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৪৫ টাকায়।
তেল-চিনির পাশাপাশি বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের। তবে অন্যান্য নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল, আটা ও ডালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ ৫৫ টাকা, ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে রসুন কেজি ১৬৫-১৭০ টাকা, আদা ২০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে ১৭৬ টাকা করা হয়েছে। আগে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৬৭ টাকা। পাশাপাশি বেড়েছে পাম তেলের দামও। প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম ১৮ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩৫ টাকা।
এ ছাড়া লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি ৩৪০-৩৫০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে। কমেনি গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে হাড়সহ ৭৫০-৮০০ টাকা ও হাড় ছাড়া মাংস ৯০০-৯৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১১৫০ টাকায়।
কাঁচাবাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামও বেড়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ১২০ টাকা, তিত করলা, কাকরোল ও ঢেঁড়শ ১০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, কচু ৭০-৮০ টাকা, কাঁচা পেপে ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। রুই ৩০০-৩২০ টাকা, কাতলা ৩২০-৩৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪৫০ টাকা, শিং ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছ কোরাল ৫০০-৭০০ টাকা, পোয়া ২৫০-৩০০ টাকা, মাঝারি আকারের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-১২০০ টাকা কেজি দরে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সালামত আলী বলেন, এখন সবজির দাম একটু বেড়েছে। গরমে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরিবহন খরচ দিন দিন বাড়ছে। আড়তের ভাড়াও বেড়েছে। বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি এলে দাম কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২৩
এসি/টিসি