ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনা চারজনের অবহেলায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৩
কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনা চারজনের অবহেলায় ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হাসানপুর স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় চালক, সহকারী চালক, পরিচালক ও  স্টেশনের সিগন্যাল মেইনটেইনারের অবহেলার পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ঘটনার দিনই এ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

গত ১৬ এপ্রিল হাসানপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে সোনার বাংলা ট্রেন ধাক্কা দিলে অন্তত ৫০ জন আহত হন। এই ঘটনায় ওইদিনই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

 

কমিটির সদস্যরা হলেন- বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) মো. জাহিদ হাসান, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা তারেক মো. ইমরান, বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী জাহেদ আরেফিন পাটোয়ারি তন্ময় ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ এম এ হাসান মুকুল।

বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা তারেক মো. ইমরান জানান, তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত। কয়েকদিনের মধ্যে রেলওয়ে প্রশাসনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার দিন সাময়িকভাবে বরখাস্ত চারজনকে দায়ী করা হয়েছে। ওদের অবহেলায় দুই ট্রেনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

জানা যায়, সোনার বাংলা ট্রেনের চালকের ভুলের কারণে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সোনার বাংলা ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম থেকে মালবাহী ট্রেনটি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হাসানপুর রেলস্টেশনে পৌঁছালে স্টেশন মাস্টার লুপ লাইনে (চার নম্বর লাইন) ট্রেনটিকে দাঁড় করান। ওই সময় দীর্ঘক্ষণ স্টেশন এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। সিগন্যাল সিস্টেমের ব্যাকআপ ব্যাটারিরও চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ায় পুরো সিগন্যাল সিস্টেম অকার্যকর হয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম থেকে সোনার বাংলা ট্রেনটিও ওই সময় হাসানপুর রেলস্টেশনে ঢুকছিল। সোনার বাংলা ট্রেনের চালক স্টেশনে ঢোকার যেহেতু কোনো সংকেত পাননি বা স্টেশনের সিগন্যাল সিস্টেম বন্ধ দেখেছেন তখন তিনি নিজ উদ্যোগে চলন্ত ট্রেনটি থামাতে পারতেন। কিন্তু ট্রেনচালক পুরো স্টেশন অন্ধকার দেখেও ট্রেন চালিয়ে যাওয়ার কারণে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।  

এই ঘটনায় সোনার বাংলা ট্রেনের পরিচালক, চালক ও সহকারী চালক দায়ী। পাশাপাশি তদন্ত কমিটি গাফিলতি দেখছেন হাসানপুর স্টেশনের মেইনটেইনার (সিগন্যাল) ওয়াহিদেরও। কারণ যখনই সিগন্যাল কাজ করছিল না, তিনি সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোলে বিষয়টি বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন এখনও দাখিল করা হয়নি। তদন্ত কমিটি যাদের দোষী সাব্যস্ত করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২৩ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।