ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেই সেলিনার ৪ মেয়ের জন্য শিক্ষাসমগ্রী পাঠালেন আ জ ম নাছির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৩
সেই সেলিনার ৪ মেয়ের জন্য শিক্ষাসমগ্রী পাঠালেন আ জ ম নাছির

চট্টগ্রাম: হাটহাজারী থানা পুলিশের উপহারে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়া সেই সেলিনার আক্তারের চার মেয়ের জন্য বই-খাতা, কলম, ড্রেস ও সারাবছরের বেতনসহ যাবতীয় শিক্ষা সামগ্রী পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।  

শনিবার (৩ জুন) সকালে হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দ্দন গ্রামে আ জ ম নাছির উদ্দিনের পক্ষ থেকে দেওয়া উপহার সামগ্রী নিয়ে সেলিনার বাড়িতে পৌঁছে দেন গুমনমর্দন ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ও লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী নেতা আনিসুর রহমান চৌধুরী।

 

এর আগে ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল সেলিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুঃখ-দুর্দশার কথা জানানোর সময় চট্টগ্রামের তৎকালীন পুলিশ সুপারকে নিজের সহায়তার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। একই বছরের ১২ এপ্রিল রাতে নিজ বাসায় সেলিনা আক্তারকে ডেকেছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সেইদিন সেলিনার সঙ্গে সাক্ষাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা উপহার দিয়েছিলেন। চার মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্বও নিয়ে ছিলেন তিনি। একই বছরের ১ জুন চার মেয়ের জন্য এক বছরের বই-খাতা, কলম-পেন্সিল, স্কুল ব্যাগ-ড্রেস ও বেতনসহ যাবতীয় শিক্ষা সামগ্রী পাঠিয়েছিলেন আ জ ম নাছির ।

গুমন মর্দন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, আ জ ম নাছির ভাইয়ের পক্ষে থেকে সেলিনার মেয়েদের মাদ্রাসার এক বছরের বেতন, পরীক্ষার ফি ও আনুসাঙ্গিক খরচ মাদরাসার ব্যাংক একাউন্টে জমা করে দেওয়া হয়েছে। লেখাপড়া জন্য নতুন বই, খাতা, কলমসহ যাবতীয় শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের চার মেয়ে ও তাদের মাকে দেয়া ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করে চলেছেন বলে তিনি জানান।

এদিকে, সেলিনার বড় মেয়ে ২০২০ সালে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল। করোনা মহামারির প্রভাবে লকডাউন শুরু হলে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। বড় মেয়ে সুমি ঘরে বসে আ জ ম নাছির উদ্দিনের দেওয়া টাকায় সেলাই মেশিন ক্রয় করে সেলাইয়ের কাজ করছে। এইচএসসিতে পড়ছে রুমি, রুমা দশম ও চাঁদনী পড়ছে সপ্তম শ্রেণীতে।  

চার মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়া আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেলিনা আক্তার জানান, আমার ঘরের কাজকর্মে সহযোগিতা করে চার মেয়ে। ঘরে বাগান, পশু পাখি পালনের মাধ্যমে আমাদের সুদিন ফিরে এসেছে আ জ ম নাছির ভাইয়ের দেয়া ৫০ হাজার টাকাসহ পুলিশ সুপারের টাকা দিয়ে ঘরের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয় করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৩
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।