ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাউজান এখন মডেল: ফজলে করিম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৩
রাউজান এখন মডেল: ফজলে করিম ...

চট্টগ্রাম: রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা শতভাগ বাস্তবায়ন করায় রাউজান এখন সারাদেশের মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমাদের প্রতিটি  ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কার্যালয় আছে।

প্রত্যেক ইউপি সদস্যের জন্য ১ হাজার বর্গফুটের স্থায়ী কার্যালয় করছি। বহুতল ভবনে প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয় আছে।
মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি। আমার মৃত্যুর পর রাউজানে কবর দেওয়া হবে এটাই চাওয়া।

সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে নগরের পাথরঘাটায় চট্টগ্রামস্থ রাউজান সাংবাদিক পরিষদের নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দৈনিক পূর্বকোণের সিটি এডিটর নওশের আলী খানের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন সিইউজের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক পূর্বকোণের মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি ও এটিএন বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক মনজুর কাদের মনজু, সিনিয়র সাংবাদিক আবু জাফর মো. হায়দার, জাকির হোসেন লুলু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, সাংবাদিক নিরুপম দাশ গুপ্ত, মোহাম্মদ জহির, দৈনিক আজাদীর স্টাফ রিপোর্টার মোরশেদ তালুকদার, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার সুজন ঘোষ, বিজয় টিভির নিউজ ইনচার্জ মোরশেদ হোসেন চৌধুরী, আলোকিত চট্টগ্রামের স্টাফ রিপোর্টার রুমন ভট্টাচার্য প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমান লালু, কামরুল ইসলাম বাহাদুর, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সুমন দে, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার সোহেল, উপজেলা পূজা পরিষদ নেতা ম্যালকম চক্রবর্তী প্রমুখ।

যোগাযোগ, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাউজানে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, রাউজানের চুয়েটে সেশন জট নেই, রাউজানে হরতাল নেই। রাউজানে আছে শৃঙ্খলা আর কর্তব্যনিষ্ঠা। যার যার দায়িত্ব তারাই পালন করছে। আমরা শুধু সরকারের পক্ষে মনিটরিং করছি।

তিনি বলেন, আমাদের কৃষি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করছি। সবার হাতে টাকা আছে, কিন্তু কৃষি জমিতে কেউ বাড়ি বানাতে পারে না। আমাদের ৩৫ হাজার কৃষক আছে। তাদের সার, বীজ, আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করছি। রাউজানে সরিষা ও সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হয়েছে। এজন্য তেল তৈরি করতে মেশিন দিয়েছি দুইটি। রাউজানের তরমুজ এত সুমিষ্ট যে একবার খেলে বার বার খেতে চায়। আমরা ২০ লাখ ফলের গাছ লাগিয়েছি। এক ঘণ্টায় লাগিয়েছি পৌনে পাঁচ লাখ। আগামী ১৫ জুলাই পাঁচ লাখ ফলের চারা লাগাব। এর মধ্যে এক লাখ দেব ছাত্রছাত্রীদের। ৩৫ হাজার কৃষককে। বাকিগুলো তালিকা করে পুরো রাউজানে লাগানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।