চট্টগ্রাম: প্রয়োজনীয় ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দেয় হাজারি গলির অসাধু ব্যবসায়ীরা। যখনই এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন অভিযান চলে তখনই দোকান বন্ধ করে উধাও হয়ে যায় তারা।
চট্টগ্রামে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ২ হাজার ২৪১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফার্মেসিগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না ডিএনএস স্যালাইন। পণ্যের গায়ে মূল্য ১০০ টাকা লেখা থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি ওষুধের বাজার হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। প্রতিবারের মতো এবারও ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান ফার্মেসি মালিকরা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, অভিযানে বেঙ্গল ফার্মেসি ও চট্টলা ফার্মেসিতে ১৫০ লিটার ডিএনএস স্যালাইন পাওয়া যায়। পরে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ফার্মেসিতে ন্যায্য দামে এই ওষুধ বিক্রি করা হয়। এরপর হাজারী গলির খাজা মার্কেটের একটি দোকান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করা হয়। সতর্কতামূলকভাবে ৩ দোকানকে জরিমানা করা হয় ২০ হাজার টাকা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বাজারে আসলেই ডিএনএস স্যালাইনের সংকট রয়েছে। আমরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিব স্যারের সঙ্গে কথা বলব। বাজারে স্যালাইনের সাপ্লাই স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এসএম সুলতানুল আরেফীন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
বিই/টিসি