চট্টগ্রাম: ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত। মাঝারি আকারের মুরগি এক টুকরা।
বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদের এমপিস কিচেনের চিরচেনা দৃশ্য এটি। সপ্তাহে ছয় দিন দুই বেলা খাবার খায় সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কিচেনের দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপক রাজীব দাশ বাংলানিউজকে বলেন, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ স্যার ভর্তুকি মূল্যে তৈরি খাবার বিক্রি কার্যক্রমের আওতায় আগ্রাবাদ ও সিইপিজেডে দুইটি কিচেন পরিচালিত হচ্ছে। সবজি ডাল ভাত ২০ টাকা, ডিম ডাল ভাত ২৫ টাকা, ডিম খিচুড়ি ২৫ টাকা। সিইপিজেডের কিচেনে আগ্রাবাদের চেয়ে পাঁচ টাকা কম নেওয়া হয়।
ঘরোয়া পরিবেশে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নিজস্ব বাবুর্চি দিয়ে রান্না করি আমরা। খাবার পরিবেশন করা হয় সুশৃঙ্খলভাবে।
তিনি বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট দোকান থেকে কাঁচাবাজার কিনি। প্রতিদিন ভাত বিক্রির টাকা ওই দোকানে জমা দিই। মাসে যে ঘাটতি থাকে সেটি এমপি স্যার দিয়ে দেন। মাসে গড়ে আগ্রাবাদ কিচেনে ৪ লাখ ভর্তুকি পড়ে। সিইপিজেডের কিচেনে আরও দেড় দুই লাখ টাকা বেশি।
তিনি জানান, শনি ও বৃহস্পতিবার মানুষ কিছুটা কম। গড়ে ৮০০ থেকে এক হাজার মানুষ দুপুরে খায় আগ্রাবাদে। সিইপিজেডে সহস্রাধিক হবে।
কিচেনে কথা হয় রহমান বাবুর্চির সঙ্গে। তিনি বলেন, ফ্রেশ খাবার তৈরি করি আমরা। বিভিন্ন প্যাকেজ আছে। এত কম দামে এত ভালো খাবার কোথাও নেই বললে চলে। মানুষ তৃপ্তি পাচ্ছে এটা দেখেও সুখ।
আমাদের কিচেন উন্মুক্ত৷ কে কোন আসনের ভোটার, কে কোন পেশার এসব বিবেচনা করা হয় না।
খেতে খেতে কথা বলছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব আবুল খায়ের। তিনি বলেন, এত বড় শহর কিন্তু এমন আয়োজন আর কোথাও দেখি না। ঝড় বৃষ্টি রোদ শীত এখানে পেট ভরে খেতে পারি। আল্লাহর কাছে দোয়া করি দুর্মূল্যের বাজারে এটি যেন চালু থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি