ঢাকা, সোমবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশের সম্পদ বেনিয়াদের হাতে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
দেশের সম্পদ বেনিয়াদের হাতে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী ...

চট্টগ্রাম: রাজনীতির নামে মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো এবং নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশটা তুলে দেওয়ার যে অপচেষ্টা, সেটির বিরুদ্ধে সাংবাদিক বন্ধুদের কলম ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।

দেশের শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা হচ্ছে। দেশের সম্পদ বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকরা মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে। সাংবাদিকরা মানুষকে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারে। আপনারা কলাম লেখেন, রিপোর্টিং করেন, সর্বোপরি আপনাদের লেখনীতে দেশের সব অপশক্তির বিরুদ্ধে জনগণকে রক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

রোববার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাপ্রসূত। তিনি ২০১৪ সালে সাংবাদিকদের একটি সভায় গিয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের জন্য নিজে থেকে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এখন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সারাদেশের সাংবাদিকদের জন্য একটি ভরসার স্থলে পরিণত হয়েছে। এটির স্থিতি এখন ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে। তা আরও বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণকালে কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন।  

তিনি বলেন, আমাদের সরকার সাংবাদিকবান্ধব। সেই কারণে করোনাকালে উপমহাদেশের কোথাও সাংবাদিকদের জন্য এককালীন অনুদান দেওয়া হয়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় সেটি আমরা এখানে করতে পেরেছি। সেজন্য ১০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন। ২০২২ সালে সবমিলিয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ১০ কোটি টাকার বেশি অনুদান দিয়েছি, এটি কেউ আশা করেনি, কল্পনাও করেনি। চট্টগ্রামে গত তিন-চার বছরে যে পরিমাণ সাংবাদিক অনুদান পেয়েছেন তা গত ৪০ বছরেও কেউ পায়নি।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের চাকরির নিশ্চিয়তা নেই, এটি সত্য। আমার অনেক বন্ধুবান্ধব সাংবাদিক, চাকরি যাওয়ার পর তার যে হাহাকার সেটি আমি নিজ চোখে দেখেছি। সাংবাদিকতায় একবার ঢুকে গেলে বের হতে পারা একরকম অসম্ভব। এটির নিশ্চয়তা হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য গণমাধ্যম নীতিমালা করেছি। এটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মালিকরা সেটির বিরোধিতা করছে। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।  

সাংবাদিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, বিমা এসব হওয়া দরকার। ওয়েজবোর্ডেও রয়েছে এসব বাস্তবায়নের কথা।  

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।  

উপস্থিত ছিলেন সিইউজের সিনিয়র সহ সভাপতি রুবেল খান, সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহরম হোসাইন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।