ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্ত্রী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২৩
স্ত্রী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেফতার ...

চট্টগ্রাম: ফটিকছড়ির ভূজপুর থানার আলোচিত সাবিনা খাতুন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি স্বামী মো. রফিকুল ইসলাম রফিককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। রফিক (৩৫) পশ্চিম লম্বাবিল এলাকার আবুল খায়ের ছেলে।

 

র‌্যাব-৭ জানিয়েছে, ২০০৫ সালে রফিক ও সাবিনা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে রফিক ও তার পরিবার সাবিনাকে শারীরিক-মানসিকভাবে নির্যাতন করতো।

২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রমজান মাসে সাবিনার পরিবারের পক্ষ থেকে ইফতারি নিয়ে সাবিনার শ্বশুর বাড়ি আসে। পরিবার ইফতারি কম পাঠানোর অভিযোগে রফিক ও তার পরিবার সাবিনাকে মারধর করে। পরবর্তীতে ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরবেলা রফিক তার স্ত্রী সাবিনাকে বাড়ির পাশে খালপাড়ে ডেকে নিয়ে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মরদেহ খালের পানিতে ফেলে দেয়।  

এ ঘটনায় সাবিনার ভাই বাদী হয়ে ভূজপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে রফিক গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামি মো. রফিকুল ইসলাম রফিকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত বিচার কার্যক্রম শেষে পলাতক আসামি মো. রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক তাপস কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, আলোচিত সাবিনা খাতুন হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো.রফিকুল ইসলাম রফিককে গ্রেফতারে লক্ষে র‌্যাব-৭ গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ড থানার ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড এলাকায় শুক্রবার সোয়া বারটার দিকে অভিযান চালিয়ে রফিককে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৩ 
এমআই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।