ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দিনমজুর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২৩
দিনমজুর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ...

চট্টগ্রাম: নগরের হালিশহর থানার দিনমজুর মাকসুদুর রহমান মাকসুদ হত্যা মামলায় মো.হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড  দিয়েছেন আদালত।  

বুধবার (৯ আগস্ট) ষষ্ঠ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো.হোসেন সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর এলাকার আদিক্কার বাড়ির মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু বাংলানিউজকে বলেন, সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি মো.হোসনকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

৩৮০ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত  ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।  

মামলার নথি থেকে জানা যায়, সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে চাকুরির সন্ধানে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের দিকে বন্দরনগরীতে আসেন মাকসুদুর রহমান মাকসুদ। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। নগরের হালিশহর থানার বি-ব্লক ২০ নম্বর লেইনে একটি কক্ষে ব্যাচেলর বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ২০১৭ সালের ১২ মার্চ মাকসুদ ও হোসেনসহ চারজন বন্ধু চায়ের দোকানে চা পান করতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মাকসুদ আসাসি হোসনকে মারধর করেন। মারধরের কথা এলাকার বড় ভাই ফরহাদের কানে যায়৷ এর কিছুক্ষণ পরে মাকসুদ ও হোসেন ফরহাদের দোকানে গিয়ে দু’জনের ঝামেলা সমাধান করার চেষ্টা করেন। সেখানে মাকসুদ এক পর্যায়ে হোসেনের গলার কলার ধরেন। পরে দু’জন বাসায় চলে যান।

১৩ মার্চ রাত তিনটার দিকে মাকসুদের রুমে ঢুকে হোসেন মাকসুদকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নগরের ফইল্লাতলি বাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকাল সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন মাকসুদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মাকসুদের ভাই মো.রিপন বাদী হয়ে হালিশহর থানায় মো.হোসেনকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা হালিশহর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১১ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেন বিচারক। মামলায় ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২৩ 
এমআই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।