ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মিতু হত্যা মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
মিতু হত্যা মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ মাহমুদা খানম মিতু।

চট্টগ্রাম: আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলা তৃতীয় দিনে শেখ মোহাম্মদ মোস্তাইন নামে একজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এনিয়ে মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।  

চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, তৃতীয় দিনের মতো দুপুর সাড়ে বারটার দিকে মিতু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

সাক্ষী কাজী আল মামুনকে আসামি পক্ষের জেরা শেষ হওয়ার পরে শেখ মোহাম্মদ মোস্তাইন নামে একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, বাবুল আক্তারের আইনজীবীরা একটি সময়ের আবেদন করেছিলেন। সেটা শুনানি শেষে আদালত নামঞ্জুর  করে। এ সময় একজন বাবুল আক্তারের আইনজীবীদের জুনিয়র ছিল। অন্য আসামিদের আইনজীবীরা ছিল, তারা সাক্ষীকে জেরা করেছেন। শেখ মোহাম্মদ মোস্তাইনসহ মোট দশ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর  মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম। ২০১৬ সালে মিতু খুন হওয়ার পর তার স্বামী, সে সময়ের পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। নানা নাটকীয়তা শেষে পিবিআইয়ের তদন্তে এখন তিনিই এ মামলার আসামি। এসপি বাবুল তার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে ছিলেন। বদলি হওয়ার পর তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩ 
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।