ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্যায় চট্টগ্রামের ৯ উপজেলায় নদী-খাল ভেঙ্গে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
বন্যায় চট্টগ্রামের ৯ উপজেলায় নদী-খাল ভেঙ্গে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি ...

চট্টগ্রাম: সাম্প্রতিক বন্যায় চট্টগ্রামের ৯টি উপজেলার নদী  ও খাল ভেঙ্গে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের প্রস্তাব দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও রাউজানের ১৩৭টি পয়েন্ট ১২ কিলোমিটার নদী-খাল ও ২০টি রেগুলেটর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্ণফুলী নদী, সাঙ্গু, হালদা নদীর পার ভাঙ্গছে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড’র প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর আওতাধীন এলাকার ৯৮টি স্থানের প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বন্যায় পটিয়ার জঙ্গলখাইন খালের পাড়, বড়লিয়ায় খালের পাড়, জিরি রেগুলেটরের ক্লোজার, ভাটিখাইনে খালের পাড় ভাঙন, কাশিয়াইশে রেগুলেটরের ব্যারেল সেটেলমেন্ট, চন্দনাইশের বৈলতলী ও বরমায় সাঙ্গু নদীর ভাঙন, লোহাগাড়ার পদুয়ায় ডলু নদী ভাঙন, আমিরাবাদে খাল ও নদীর তীর ভাঙন, আধুনগরে খালের পাড় ও নদীর তীর ভাঙন, সাতকানিয়ার চরতি সাঙ্গু নদীর ভাঙন, সাতকানিয়া পৌরসভায় খালের পাড় ভাঙন, দক্ষিণ আমিলাইশে খালের পাড় ভাঙন, এওচিয়া ও নলুয়ায় খালের পাড়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া আনোয়ারার জুঁইদন্ডীতে বেড়িবাঁধ ধস ও নদীর তীর ভাঙন, রায়পুরে খালের পাড় ও নদীর তীর ভাঙনের পাশাপাশি নতুন কাজের ডাম্পিং জোন ক্ষতিগ্রস্ত ও বেড়িবাঁধে ভাঙন, পরৈকোড়ায় ইন্টেরিয়র ডাইক ক্ষতিগ্রস্ত, বারখাইন, বরুমচড়া ও হাইলধরে ইন্টেরিয়র ডাইক ক্ষতিগ্রস্ত, ফটিকছড়ির নাজিরহাটে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত, সুন্দরপুরে নদীর তীর ভাঙন, বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত, রেগুলেটরের রিটেইনিং ওয়াল ও এপ্রোন ক্ষতিগ্রস্ত, সুয়াবিলে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত, কাঞ্চননগরে খালের পাড় ভাঙন, ফতেপুরে রেগুলেটরের ব্লক ধসে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিভাগ-১) এর নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলা ও উত্তর চট্টগ্রামের দুটি উপজেলায় ১৮টি স্থানে নদী ও খাল মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৪৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিছু এলাকায় প্রকল্পের আওতায় কাজ চলমান রয়েছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গামাটি বিভাগের আওতাধীন এলাকার মধ্যে রাউজানে ২৯টি স্থানে ১২১০ মিটার নদী ও খাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডাবুয়া খালের বামতীরে তেলিপাড়ায় ৭০ মিটার, সর্তা খালের ডান তীরে উত্তর সর্তা এলাকায় ৫০ মিটার, সর্তা খালের গনি পাড়ায় ১০০ মিটার, ডাবুয়া খালের ডানতীরে তৌকির আহমদ সড়কে ৫০মিটার, সর্তা খালের বাম তীরে চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় ৭০ মিটার, পৌরসভায় ডাবুয়া খারের বামতীরে সৈয়দ কাজী বাড়ি সংলগ্ন বাঁধ ৬০ মিটার, বাম তীরে সৈয়দ বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের ব্রিজ ১৫ মিটার, ডাবুয়া খালের ডানতীরে জানানীহাট ব্রিজ সংলগ্ন বাঁধের ঢাল ১০০ মিটার, ডানতীরে ব্রাহ্মণ পাড়া এলাকায় বাঁধের ঢাল ১০০ মিটার, ডাবুয়া খালের ডানতীরে জানালীহাট ব্রিজ সংলগ্ন বাঁধ ৩৯০ মিটার, ডাবুয়া খালের ডানতীরে শ্যামল পালিত ব্রিজ সংলগ্ন বামতীরে সন্দ্বীপ পাড়া এলাকায় বাঁধ ৮০ মিটার, ডাবুয়া খালের বামতীরে রোহিঙ্গা বিলে বাঁধের ঢাল ৫০মিটার, ডান তীরে আলীরখীল ব্রিজ সংলগ্ন বাঁধের ব্রিজ ৩৫ মিটার, কাগতিয়া রেগুলেটর সংলগ্ন হালদা নদীর বামতীরে ৪০ মিটার এবং কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ১২টি রেগুলেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  

রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটায় কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে ৮০ মিটার, কদমতলীর মাহফুজ খালের বাম তীরে ১০ মিটার, কদমতলীর ফ্লাড বাইপাসে মাহফুজ খালের বাম তীরে ১০ মিটার, বেতাগীর কর্ণফুলী নদীর ডান তীরের দুটি অংশে ১০০ মিটার, পদুয়ার বাঙ্গালহালিয়া খালের ডান তীরে ৩০ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  

হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার মান্দারী খালের রেগুলেটর ও নেভিগেশন সংলগ্ন এলাকায় হালদা নদীর ডানতীর ৫০ মিটার, মেখলের বোয়ালিয়া খালের ৭ ও ৫ ভেল্ট রেগুলেটরের মধ্যবর্তী গাইড বাঁধ হালদা নদীর ডান তীরে ৫০ মিটার, গড়দুয়ারা প্যারাখালী খালে রেগুলেটর সংলগ্ন এলাকায় হালদা নদীর ডানতীরে ৩২ মিটার, গড়দুয়ারা চেংখালী খাল বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ সংলগ্ন হালদা নদীর ডান তীরে ৬০ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।