ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা হযবরল হয়ে গেছে: অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা হযবরল হয়ে গেছে: অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বঙ্গবন্ধুর করা কুদরত ই খুদা শিক্ষা কমিশন ছিল আসল শিক্ষা কমিশন। এরপরে অনেক কমিশন হলেও সেগুলোর গুনগত মান ছিলো না।

আমিও ১৯৯৭ সালের করা শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলাম। কিন্ত সেই কমিশনগুলো ভালো ছিল না।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন হযবরল হয়ে গেছে।

রোববার (২৭ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইতিহাসবিদ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।  

চবির সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল এ আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবির কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ। তিনি বলেন, ১৯৬৬ সালে ছয়দফা দাবির মধ্যমে বুঝা যায় তিনি একজন রাষ্ট্র নায়ক হবেন। বাঙালি হিসেবে আমরা এটা অনেক আগেই বুঝেছি। বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলার জন্য একটা প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের শত্রুরা তাকে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধুর শাসনামল সম্পর্কে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার শাসনামলে মোট ৫৯৩টি আইন পাস করেন। তিনি চেয়েছিলেন কৃষিজাত পণ্য থেকে রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করবেন। তার চিন্তা ছিল কৃষির মাধ্যমে শিল্পায়নের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। বঙ্গবন্ধু কৃষিকে সবসময় প্রধান্য দিয়েছেন। তিনি বাঙালি সংস্কৃতির জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছেন বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পারলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বার্থকতা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ২০১৪ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর হত্যার ঘটনা অনুসন্ধানে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য কথা বলছি। দেশ, জাতি ও বিশ্বকে ১৫ আগস্ট সম্পর্কে জানানো দরকার। তা না হলে আবারও ২১ আগস্টের মতো ঘটনা ঘটবে। তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন জমা দিবে, সেটা সবাইকে জানতে হবে, জানাতে হবে। তদন্ত না হলে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটতেই থাকবে। কারণ, বাংলাদেশ এখনও বিপদ মুক্ত নয়।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু মোট ৩ হাজার ৫৩ দিন জেল খেটেছেন। তিনি পাকিস্তানে আরও ৪ বছর জেলে ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে তিনি মোট ১ হাজার ৩১৪ দিন সময় পেয়েছেন। ৫৫ বছর ৪ মাস ২৯ দিন বঙ্গবন্ধু বেঁচে ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. খসরুল আলম কুদ্দুসী। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, জীববিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ দৌল্লাহ, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।