ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২৬ দাবির বাস্তবায়ন চায় চবি শিক্ষক সমিতি, পাল্টা বিবৃতি ৪ শিক্ষক নেতার

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
২৬ দাবির বাস্তবায়ন চায় চবি শিক্ষক সমিতি, পাল্টা বিবৃতি ৪ শিক্ষক নেতার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে বিতর্কিত এ প্রশাসন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আস্থা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী।  

রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সভাপতি এ মন্তব্য করেন।

এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অধিকার সংশ্লিষ্ট ২৬টি দাবি তুলে ধরে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য কৌশলে উপেক্ষা করছেন। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এসব দাবি বাস্তবায়ন না করায় আমরা বাধ্য হয়েছি দেশের এ নির্বাচনকালিন সময়ে কর্মসূচি দিতে।

প্রশাসন বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ৭৩' এর আইনকে অমান্য করেছে। চবি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটকে একটি নিজস্ব পর্ষদে পরিণত করে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ভারসাম্যহীন একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ৭৩' এর আইনকে অমান্য করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  

এদিন সংবাদ সম্মেলন শেষে বেলা সাড়ে ১২টায় উপাচার্য দফতরের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।  

এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যে দাবিগুলো করে আসছি প্রশাসন সুকৌশলে প্রতিটি দাবি উপেক্ষা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মতো অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতিকে প্রোগ্রামের আগেরদিন দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। অথচ এ অনুষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর আবেগ জড়িয়ে আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। কিন্তু প্রশাসন এ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আগে থেকে শিক্ষক সমিতিকে কোনো কিছুই জানায়নি। এভাবেই প্রতিনিয়ত শিক্ষক সমিতিকে অমর্যাদা করছে এ প্রশাসন।  

তিনি আরও বলেন, চবি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার সক্ষমতা হারিয়েছেন। উনার নৈতিক অবস্থান দুর্বল হয়ে গেছে। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মতো একটি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত। খুবই নগন্য উপস্থিতি নিয়ে তারা এটি উদযাপন করেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এবং নেতৃত্বের দুর্বলতা থাকায় শিক্ষকগণ তার সঙ্গে অংশগ্রহন করতে চান না। এ অবস্থায় আজকের কর্মসূচি থেকে উপাচার্য ও তার প্রশাসনকে ৭দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হলো। উল্লিখিত বিষয়গুলোর সমাধান না হলে পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।    
 
শিক্ষক সমিতির ২৬ দাবি: 

অতিসত্বর সিন্ডিকেটে ডিন, প্রভোস্ট এবং একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন দিতে হবে। শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অডিও কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করে নিয়োগ-বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে যুক্তদের খুঁজে বের করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি বোর্ডে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের সঙ্গে  সম্পর্কযুক্ত নয় এমন অনেক প্রশাসন-ঘনিষ্ট শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে। পক্ষপাতদুষ্ট ও বিতর্কিত এ সকল নির্বাচনী বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন বিভাগে স্থায়ী/অস্থায়ী ভিত্তিতে গণহারে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং সকল অবৈধ নিয়োগ বাতিল করতে হবে।  

সিন্ডিকেট সভায় 'নির্বাচনী বোর্ড বা সিন্ডিকেট প্রয়োজন মনে করলে বিজ্ঞাপিত পদের অতিরিক্ত নিয়োগ দিতে পারবে' মর্মে গৃহীত রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিপন্থী ও বেআইনি সিদ্ধান্ত অতিসত্বর বাতিল করতে হবে। সিন্ডিকেট সভায় বিভাগ থেকে চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগকৃত এ সকল প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপককে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই স্থায়ী করা যাবে' মর্মে গৃহীত বেআইনি এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ও বিশ্ববিদ্যালয় কনসেপ্ট পরিপন্থী সিদ্ধান্ত অতিসত্বর বাতিল করতে হবে। নির্বাচনী বোর্ড বা বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সদস্য হিসেবে মিথ্যার আশ্রয়গ্রহণ, স্বীকৃত ও মানসম্পন্ন জার্নালের প্রকাশনাকে অস্বীকার ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষকগণের পদোন্নতিতে অন্যায়ভাবে বাধা সৃষ্টিকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের পদোন্নতির উদ্যোগ নিয়ে আবেদনের তারিখ থেকে কার্যকর করতে হবে।

শিক্ষকদেরকে অযাচিত হয়রানি থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে সহকারী অধ্যাপকের ন্যায় সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে পদোন্নতি আবেদনের তারিখ থেকে কার্যকর করতে হবে। পালি বিভাগের সভাপতি শাসনানন্দ বড়ুয়া রুপন এবং ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হকের বিরুদ্ধে গঠিত হয়রানিমূলক তদন্ত কমিটি অতিসত্বর বাতিল করতে হবে। অতিসত্বর চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষকদের জন্য অতীতে বিদ্যমান চিকিৎসাকেন্দ্র, ক্লাব এবং গেস্ট হাউস সুবিধা চালু করতে হবে। শিক্ষকদের যাতায়াত সংকট নিরসনের জন্য অতিসত্বর নতুন শিক্ষক বাস (এসি) ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।  

অবিলম্বে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৪ জুন ২০১৮ থেকে অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ এবং তদুর্ধ্ব গ্রেডের শিক্ষকদের যথাক্রমে মাসিক ৩ হাজার ৩০০ এবং ৪ হাজার ৭২০ টাকা হারে ইন্টারনেটসহ টেলিফোন নগদায়ন ও মোবাইল ভাতা এককালীন এবং এর পর থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি মাসে প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দেশের অন্যান্য সরকারি/পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অবিলম্বে শিক্ষকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজের পারিতোষিক এবং বিভিন্ন দায়িত্ব ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষকদের পরীক্ষার পারিতোষিকসহ বিভিন্ন বিল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিলম্ব, বিশৃংখলা ও হয়রানি রোধে অবিলম্বে অটোমেশনসহ আবশ্যক অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের জন্য ৩টি অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট প্রদানের ব্যাপারে বিগত ৫৪০তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ৪০(ক) অতিসত্বর বাস্তবায়ন করতে হবে। অবিলম্বে আবাসিক হলসমূহে নিয়মিত ও বৈধ শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ প্রদানসহ আবাসনের পরিবেশ ও খাবারের মান বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের জন্য শাটল ট্রেনে বগির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সেপ্টেম্বর ২০২৩ এর শুরুতে ঘটে যাওয়া ট্রেন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ব্যাপক ভাংচুর ও সম্পদহানির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

অবিলম্বে যেকোনো ইস্যুতে যখন-তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়া; শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি প্রদান কিংবা মারধর: এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানি সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার মত নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডসমূহ মোকাবেলায় দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন বিধিবদ্ধ পর্ষদের সভায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিগণ কিংবা প্রশাসন-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে এবং এ সকল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্তদের দ্রুত জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত শর্তসমূহকে শিথিল করার প্রস্তাব এবং তা সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। সিন্ডিকেটের বিভিন্ন সভার আলোচ্যসূচি যথাসময়ে সদস্যগণের নিকট প্রদান না করা, সভাসমূহে গৃহীত সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সভা অনুষ্ঠানের তারিখের পর বিকৃত করা এবং যথাসময়ে সিন্ডিকেট সদস্যগণের নিকট কার্যবিবরণী সরবরাহ না করার মত অগ্রহণযোগ্য ও বেআইনি কার্যক্রম থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদের সভায় প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি কিংবা প্রশাসন-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। মর্জিমাফিক কাজ না করার কারণে অসৌজন্যমূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকদের অব্যাহতি দেওয়া, ফলক থেকে নাম মুছে দেওয়া কিংবা পদত্যাগকারী ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদানের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যক্রম থেকে প্রশাসনকে বিরত থাকতে হবে।

অবিলম্বে শিক্ষকদের চরিত্রহননের লক্ষ্যে বানোয়াট সংবাদ, ভিডিও চিত্র, লিফলেট ইত্যাদি তৈরি ও ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষক সমিতির দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী ঢাকাস্থ গেস্ট হাউস সুবিধার সম্প্রসারণ এবং আবাসনের মান ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে যথাযথ পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকার নির্ধারণের অভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদাক্রমের ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর অব্যাহত অবনতি ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, সদস্য ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী ও অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা এবং চবি শিক্ষকদের হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দার চৌধুরী'সহ অন্যান্যা শিক্ষকবৃন্দ।  

প্রশাসনপন্থীদের পাল্টা বিবৃতি:

শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন উপাচার্যপন্থী হিসেবে পরিচিত এবং শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পর্যদের চার সদস্য। তারা হলেন, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান, সদস্য অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়া, অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম এবং অধ্যাপক ড. রকিবা নবী।

বিবৃতিতে তারা বলেন, শিক্ষক সমিতির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড- অর্থাৎ সংবাদ সম্মেলন, অবস্থান ধর্মঘট, নিয়মিত ভাবে বিশাল আকারের বিবৃতি প্রদান, বিভিন্ন শিক্ষককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বিবৃতি প্রদান শিক্ষক সমিতির ৫০ বছরের ইতিহাসের পরিপন্থী। বিভিন্ন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারসহ অসংখ্য কর্মকাণ্ড শিক্ষক সমিতির এক তৃতীয়াংশ সদস্যকে না জানিয়ে, কোনও সভায় আলোচনা না করে শীর্ষ নেতাদের স্বাক্ষর নিয়ে করা হয়েছে। এর দায়ভার কোনোভাবেই এ চারজন শিক্ষক নিবেন না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সমিতির ৩০ ভাগ সদস্যকে কোন কিছু না জানিয়ে, উপেক্ষা করে কোনরকম প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত আমাদের হতবাক ও হতাশ করেছে।

৪ সদস্যের এমন বিবৃতি নিয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, তাদের দেওয়া এ বিবৃতির বক্তব্য পরিষ্কার নয় এবং সম্পূর্ণ অসত্য। কার্যকরী পর্ষদের যে চার সদস্য এ বিবৃতি দিয়েছেন তারাসহ সমিতির সবাইকে জানানো হয়েছে সার্বিক কর্মসূচির বিষয়ে। সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

চট্টগ্রাম প্রতিদিন এর সর্বশেষ