ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে আটকে রাখার অভিযোগ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে আটকে রাখার অভিযোগ  ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমানের এক সমর্থককে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর বিরুদ্ধে।

নগরের চান্দগাঁও রুপালী আবাসিকে নদভীর বাসায় লোহাগাড়ার পুটিবিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা সৈয়দুল আলমকে আটকে রাখা হয় বলে দাবি করেন ডা. মিনহাজুর।

সোমবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন।  

লিখিত অভিযোগে ডা. মিনহাজুর রহমান উল্লেখ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্রে সংযুক্তি হিসেবে দাখিলকৃত এক শতাংশ সমর্থনকারী ভোটার তালিকার ক্রম ৩১০ নম্বর লোহাগাড়া থানার পুটিবিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা সৈয়দুল আলম (দ্বৈবচয়নে তিনি ১০ জন সমর্থকের একজন)।

প্রতিপক্ষ সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আবু রেজা নেজামউদ্দীন নদভী নগরের চান্দগাঁও রুপালী আবাসিকের বাসার তৃতীয় তলার অফিস কক্ষের পাশের কম্পিউটার রুমে তাকে আটকে রেখেছেন এবং সোমবার (আজ) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে আপনার কার্যালয়ে হাজির করে স্বাক্ষর দেননি মর্মে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য চাপ দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন। অথচ এই সমর্থক গত ২ ডিসেম্বর লোহাগাড়া উপজেলায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে সমর্থনে স্বাক্ষর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ প্রেক্ষিতে আমার সমর্থক সৈয়দুল আলমকে উদ্ধারপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও নির্দেশনা প্রদানের আবেদন করছি।  

অভিযোগের বিষয়ে ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সৈয়দুল আলম নামে আমার একজন সমর্থনকীরকে নগরের চান্দগাঁও রুপালী আবাসিকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আবু রেজা নেজাম উদ্দিন নদভীর বাসার তৃতীয় তলায় অফিস কক্ষের পাশের কম্পিউটার রুমে আটকে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।  

অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আবু রেজা নেজাম উদ্দিন নদভী বলেন, আমি এ আসনের দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। আমার বাড়িতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে। আমি নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত আছি। বাসায় কে এসেছে, কে আসেনি এসব দেখার সুযোগ হয় না। আমি বা আমার কোনও সমর্থক এ ধরনের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নই।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার প্লাবন কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩ 
এমআই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।