ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্যাতনে শিশুর মৃত্যু, গ্রেফতার সৎ বাবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
নির্যাতনে শিশুর মৃত্যু, গ্রেফতার সৎ বাবা ...

চট্টগ্রাম: নগরের ইপিজেড থানায় দুষ্টুমিতে বিরক্ত হয়ে ওমর ফারুক নামে দুই বছরের এক শিশুকে মারধর ও সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরে ছ্যাঁকা দেন শিশুটির সৎ বাবা। কয়েকদিন আগে শিশুটিকে ফের দেওয়ালে ধাক্কা মারেন সৎ বাবা মো. ইয়ামিন।

এতে শিশুটি গুরুতর আহত হয়।

পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ বাবা মো. ইয়ামিনকে গ্রেফতার করেছে ইপিজেড থানা পুলিশ। মো. ইয়ামিন (২৪), গাইবান্ধা জেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আবছার আলীর ছেলে। নগরে ইয়ামিন স্ত্রী রওশনারা বেগম ও নিহত শিশু ওমর ফারুকের সঙ্গে ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডে পকেট গেইট এলাকায় বাসা ভাড়ায় থাকতেন।  

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, শিশুটির মা একজন পোশাক শ্রমিক। তিনি তাঁর তৃতীয় স্বামী ইয়ামিনের সঙ্গে ওই বাসায় থাকতেন। ইয়ামিন কিছু করতেন না। আর বাচ্চাটি ছিল ওই মহিলার আগের সংসারের অর্থাৎ দ্বিতীয় স্বামীর। গত ৬ ডিসেম্বর দুষ্টুমি করায় তার শরীরে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছিল অভিযুক্ত সৎ বাবা। রাতে যখন মা বাসায় ফিরে তখন শিশুটির শরীরে থাকা কালো দাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। পরদিন (৭ ডিসেম্বর) রওশনারা তাঁর শিশু সন্তানকে বাসায় রেখে প্রতিদিনকার মতো কারখানায় যান। এ সময় দুষ্টুমির কারণে রাগে তাঁর সৎ বাবা শিশুটির চোয়াল ধরে জোরে ধাক্কা দিলে সে মাথার পেছনে আঘাত পায়। পরে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। চমেকে আইসিইউ খালি না থাকায় পরে শিশুটিকে বেসরকারি হলি হেলথ হাসপাতালে আনা হয়। এই হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটায় চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়। পরদিন (৯ ডিসেম্বর) তাঁর মরদেহ ইপিজেডের বাসায় আনা হয়। পুলিশ ৯৯৯ নাম্বারে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌছে। পুলিশের উপস্থিতি দেখে অভিযুক্ত ইয়ামিন পালানোর চেষ্টা করেছিল। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ওইদিন ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।