ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রোগীকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নকর্মী গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৪
রোগীকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নকর্মী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) হাসপাতালের এক রোগীকে ধর্ষণের মামলায় হাসপাতালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নকর্মী মো. জামাল আহম্মদ রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে আনোয়ারা থানার  রায়পুর এলাকায় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

মো. জামাল আহম্মদ রাকিব (৪১), আনোয়ারা থানার চাতরী এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে।

র‌্যাব-৭ জানায়, ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অসুস্থ নারী চমেক হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগে ডাক্তার দেখাতে আসেন।

ঐ বিভাগে কর্মরত পরিচ্ছন্নকর্মী মো. জামাল আহম্মদ রাকিব ওই নারী রোগীকে দেখে ডাক্তারের সিরিয়াল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে হির্বিভাগের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে নিয়ে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলে। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে পরিচ্ছন্নকর্মী রাকিব ওই নারী রোগীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ধর্ষক রাবিককে হাতেনাতে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় নগরের পাঁচলাইশ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা হওয়ার পর রাবিক বিচার প্রক্রিয়া চলাকালে কিছুদিন জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এই মামলায় বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়।
 
র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিব আনোয়ারা এলাকা থেকে নৌকায় নদীপথে কুতুবদিয়ায় পালানোর উদ্দেশ্যে রায়পুর এলাকায় অবস্থান করছে। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সকালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে সে নগরের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করেছিল। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে আনোয়ারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।