ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে নগর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৪
ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে নগর ...

চট্টগ্রাম: ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পরিবারের সাথে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি ছুটছে মানুষ। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে নগর।

চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে।

রমজান মাসজুড়ে নগরে ছিল যানজট।

এখন তা কমছে। ইতোমধ্যে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন অনেকে। সোমবার (৮ এপ্রিল) অনেকে রওনা হয়েছেন গ্রামে। সৌদি আরবে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন হলে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে।

পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করার জন্য প্রতি বছর বাস ও ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার পথে নানা ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ঈদের দু-একদিন আগে থেকে প্রতিটি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটে। অতিরিক্ত গরমে বাসে ভোগান্তি বাড়ে আরও বেশি। তবে অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করছেন ঘরমুখো মানুষ।

কদমতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, কদমতলী বাস টার্মিনাল, স্টেশন রোড, বিআরটিসি বাসস্টেশন, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার গেট, অলংকার মোড়, একে খান ও সিটি গেট এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা যায়। ট্রেনের অগ্রিম টিকিট যারা কেটেছেন তারা এবং যারা স্ট্যান্ডিং টিকিট পেয়েছেন তাদের ভ্রমণ কিছুটা আনন্দদায়ক হলেও বাসের যাত্রীদের ভোগান্তি বেশি। বাসে দূরপাল্লার যাত্রীরা সহজে পাচ্ছেন না টিকিট। টিকিট পাওয়া গেলেও বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

অনেকে ট্রেনের ছাদে উঠে গেলে জিআরপি পুলিশ এবং আরএনবির সদস্যরা তাদেরকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ট্রেনে ঈদযাত্রার পাঁচদিনের মধ্যে শুধুমাত্র গত তিনদিন ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়। আর গত শুক্রবার চাঁদপুরগামী মেঘনা স্পেশাল একটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে বলে জানায় রেল কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম থেকে ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন, চারটি মেইল ট্রেন এবং দুইটি স্পেশাল ট্রেনের কোনও ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়নি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শফিকুল ইসলাম বলেন, সব ট্রেনে যাত্রী পরিপূর্ণ। ছাদে কোন যাত্রী উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।

বাস টার্মিনালের কাউন্টারগুলোতেও দেখা গেছে, যারা আগে টিকিট পাননি, তারা টিকিটের জন্য এক কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে ছুটছেন। যাত্রীরা কাউন্টারে গিয়ে যে রুটের টিকিট চাচ্ছেন, তা মিলছে না। যেসব কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে নির্দিষ্ট দামের চেয়ে ৩ থেকে ৪শ টাকা, অনেক ক্ষেত্রে ৫-৬শ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।  

বিআরটিএ ও সিএমপির পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রী পরিবহন না করতে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চালক-মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী পরিবহন করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৪
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।